আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্র“তার জেরে সশস্ত্র ও সন্ত্রাসী কায়দায় প্রকাশ্যে দিবালোকে রোপনকৃত আমন ধান, ধরতি কলার বাগান ও মূল্যবান গাছ কেটে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতিসাধন। বাধা দেয়ায় জমি মালিকের ছেলে আহত হয়ে হাসপাতালে ২৯ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের। মামলার এজাহার ও সরেজমিনে প্রকাশ, উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের চালিতাদহ গ্রামের আজিজার রহমান সর্দারের সঙ্গে একই গ্রামের সাকোয়াত হোসেন তোতা, তার পুত্র মাকনুন খন্দকার গংদের সাথে দীর্ঘদিন হলো জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। উক্ত বিষয়ে গাইবান্ধা আদালতে দু’টি মামলা বিচারাধীন আছে। বিরোধ চলাকালে গত ৩১ জুলাই সকাল ৮টার দিকে প্রতিপক্ষ সাকোয়াত হোসেন তোতা, মাকনুন খন্দকার, মাসনুন খন্দকারসহ প্রায় ৭০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি লাঠি সোটা, রাম দা, গাছ কাটা ব্লেড, লোহার রড, ছোড়া ও ধারালো অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আজিজার রহমান সর্দারের ভোগ দখলীয় ৮০ শতাংশ জমির রোপা আমন ধান উপরাইয়া ফেলে এবং ধরতি কলা বাগানের ৫শ’টি কলাগাছ ও বিভিন্ন প্রজাতির বনজ গাছ কেটে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। জমি মালিকের পুত্র সহিত মিয়া বাধা দিতে গেলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাথারী মারডাংয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আহত শহিদকে স্থানীয়রা পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এ ব্যাপারে জমি মালিকের পুত্র শাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে মাকনুন খন্দকার, মাসনুন খন্দকার, সাকোয়াত হোসেন তোতা গংসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায় একটি মামলা (নং-২৬, ৩১ জুলাই ২০১৪) দায়ের করেন।