এমন দিনতো আসবেই যখন রাজধানীতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। সেইসব দিনের কথা আগাম চিন্তা করেই বসানো হয়েছে হেলিপ্যাড। কিন্তু যারা মূল ঢাকা থেকে ফ্লাইওভারে গাড়ি চালিয়ে তিনশ’ ফুট চওড়া সড়ক হয়ে সাঁই করে ঢুকে পড়বেন তাদের জন্যও রাখা হয়েছে দেড় হাজারের বেশি গাড়ি পার্কিং সুবিধা। অনুষ্ঠানে কারো এমন অতিথি থাকতে পারেন যারা আগেভাগেই চলে আসবেন। তাদের কোথায় রাখা হবে সে চিন্তাও সেন্টারের। এখানেই রয়েছে আবাসিক সুবিধা। কোনো কোনো অতিথিকে নামতে হবে আরও অধিক নিরাপত্তায়, সেজন্য হলের ভেতরেই রাখা হয়েছে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুবিধা। আর গাড়িগুলো চলবে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায়। এমন একটি সেন্টার হয়তো অনেকের স্বপ্ন। কিন্তু বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে এখন সেটাই বাস্তবতা।
কুড়িল বিশ্বরোডের যে ফ্লাইওভারটি এখন আপনাকে বিমানবন্দর নিয়ে যাচ্ছে অতিদ্রুততায় তার পাশ ঘেঁষে নতুন সড়ক ৩০০ ফুট চওড়ায় চার লেনে বাহু মেলেছে পূর্বাচলের দিকে। ওই সড়ক ধরে কিছুদূর এগুলেই হাতের বাঁয়ে কনভেনশন সেন্টারগুলো চোখে পড়বে।
চারটি সেন্টারেই রাখা হয়েছে অনেকটা একই ধরনের সুযোগ সুবিধা। প্রতিটি সেন্টারের হলগুলোর মাঝে এখানে সেখানে পিলার বা কলাম আপনার সুবিধামতো ব্যবহারে অসুবিধা সৃষ্টি করবে না। পুরো ফাঁকা স্পেস, ব্যবহার করতে পারবেন নিজের ইচ্ছামতো ভাগ করে।
পুরো কনভেনশন সিটি থাকছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায়। এখানে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, রয়েছে নিরাপত্তার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ। মালপত্র ওঠানো নামানোর জন্য পৃথক লোডিং ও আনলোডিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে এই সেন্টারগুলোতে।
বাইরের আলো ও তাপ যাতে ভেতরের পরিবেশে প্রভাব ফেলতে না পারে তার জন্য বসানো হয়েছে লাইট অ্যান্ড হিট ডিফিউজিং গ্লাস।
বিশাল লবি এরিয়া স্বাচ্ছন্দ্যের পার্টি সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু যদি কারো প্রয়োজন হয় নিঃশব্দ পরিবেশ তার জন্য সেন্টারগুলোর ইন্টেরিয়র ওয়াল থাকছে সম্পূর্ণ সাউন্ড প্রুফ। রয়েছে অডিও-ভিজুয়াল কন্ট্রোল রুম। আর নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের সুবিধার জন্য থাকছে গ্রিনরুম সুবিধা। আর অনুষ্ঠানের জন্য লাইটিং বা সাউন্ড সিস্টেমও রয়েছে এই কনভেনশন সেন্টারে।
তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা দিতে পুরো কনভেনশন সিটি আনা হয়েছে ওয়াইফাই সুবিধার আওতায়।
এখানেই শেষ নয়, অনুষ্ঠান আয়োজনে যাদের সেন্টারে থেকে কাজ করতে হবে কিংবা তদারকি করতে হবে তাদের জন্য আছে ২৪ ঘণ্টার ক্যাফে। এখানেই থাকছে উপহার সামগ্রী কেনার সুযোগ, থাকছে বিউটি সেলুন বা পার্লার।
সেন্টারের কর্মযজ্ঞ ও প্রয়োজনীতার সঙ্গে মিল রেখে এখানে গড়ে উঠছে বিশেষ ব্যবসায়ী কেন্দ্রও। নামাজ আদায়ের জন্য প্রতিটি সেন্টারেই রয়েছে বড় স্পেস।
বিয়ে, আন্তর্জাতিক/জাতীয় কর্পোরেট সেমিনার, ফ্যাশন শো, বাণিজ্য মেলা, প্রদর্শণী, গাড়ি মেলা, সেলস কিংবা ডিলার কনফারেন্স, কনভোকেশন, কর্পোরেট ডে আউট কিংবা নাইট, স্কুল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, বার্ষিক সাধারণ সভা কিংবা বিশেষ সাধারাণ সভা যে কোনো আয়োজনে ব্যবহৃত হতে পারে এই সেন্টার। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। বুকিং চলছে।
যারা ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি স্লটে বুকিং নেবেন তাদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় অফার। বুকিং দিয়ে জিততে পারেন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং আরও অনেক আকর্ষণীয় স্থানে মধুচন্দ্রিমার প্যাকেজ।
বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করতে হবে ০১৮১৯২৫১৯৪০, ০১৭৬৮৫৩৩১৫১, ০১৮১৯৪১২৮৩২, ০১৯৩৮৮৭৩২১৭ কিংবা ৮৪০১২১৪, ৮৪০১৮৯৫ নম্বরে। ই-মেইল করতে পারেন- reservation@bg.com.bd ঠিকানায়। বিস্তারিত তথ্য মিলবে bashundharaconvention.com এ।