ফ্যাশন-দুনিয়াকে সচেতনভাবে এড়িয়ে চলেন বলেই এত দিন সুনাম ছিল লিওনেল মেসির। ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানগুলোর পরামর্শে অদ্ভুতুড়ে পোশাক বা চুলের স্টাইল কখনোই দেখা যায়নি মেসির। তাঁর সাজ-পোশাক নিয়েও কোনো দিন তৈরি হয়নি কোনো সমালোচনা বা বিতর্ক। কিন্তু এ বছর মেসির হয়েছেটা কী! বছরের শুরুতে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে কটকটে মেরুন রঙের স্যুট গায়ে চাপিয়ে সমালোচিত হওয়ার পর এবার এমন একটি চুলের স্টাইল বেছে নিলেন, যা সমালোচনার ঝড় তুলেছে তাঁর ভক্তকুলে।
মেসির সঙ্গে ফ্যাশনের হালফিল তেমন একটা যায় না। তাঁর আদুরে আর নিষ্পাপ চেহারাটার মধ্যে কেন যেন ঘরোয়া একটি ভাব আছে। খুব আপন-আপন চেহারার মেসি যদি কিম্ভূতকেতা গ্রহণ করেন, তবে তা সত্যিই বেমানান মনে হয় সবার কাছে। মেসির সাম্প্রতিক চুলের স্টাইলটিও তাঁর ভক্তসহ অন্যদের কাছে ঠিক এমনই।
মেসির চুলের স্টাইলটি নাকি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মতো! সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক ভক্তই এমন মন্তব্য করেছেন। তবে কি মেসি একজন স্বৈরাচারী শাসকের কেতা অনুসরণ করছেন। এ নিয়েও এন্তার অভিযোগ ভক্তদের।
মেসির নতুন চুলের স্টাইল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তিনি হাবে-ভাবে তাঁর ঘোর প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে অনুসরণ করছেন। কিন্তু অনেক ভক্তই বলছেন, যে স্টাইল রোনালদোকে মানায়, সেটা মেসিকেও মানিয়ে যাবে—এমনটা ভাবা কিন্তু অন্যায়ই।
হাল ফ্যাশনের জগতে মেসি কিন্তু নেইমার কিংবা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়ে বরাবরই পিছিয়ে। অভিযোগ আছে, নেইমার ও রোনালদোর অনেক চুলের স্টাইল ও পোশাক নাকি ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানদের নির্ধারণ করে দেওয়া। এই একটি জায়গায় মেসি তাঁর সমসাময়িক দুই সেরা তারকার চেয়ে একটু ভিন্ন অবস্থানে থাকতেন। পোশাক-পরিচ্ছদে একটু পুরোনো কেতা অনুসরণের জন্যও প্রশংসিত ছিলেন তিনি। তাঁর চুলের স্টাইল ছিল একেবারেই সাধারণ। আগেই বলা হয়েছে, তাঁর চুলের স্টাইলে অনেক সাধারণ মানুষই সাধারণ্যের ছোঁয়া খুঁজে পেত। মেসি তাঁর ফ্যাশন নিয়ে প্রথম সমালোচনার মুখে পড়েন এ বছরের শুরুতে, জুরিখে ব্যালন ডি’অর প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে। সেই অনুষ্ঠানে বান্ধবী অ্যান্তনিলা রোকুজ্জোকে সঙ্গে নিয়ে মেসি এসেছিলেন কটকটে মেরুন রঙের একটি স্যুট পরে। অনুষ্ঠানের পরদিন একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রে মজা করে লেখা হয়েছিল, ‘খুব সম্ভবত মিসেস মেসি স্যুটের ব্যাপারে লিওকে সঠিক পরামর্শটি দিতে পারেননি।’ সূত্র: নিউজ ডটকম, অস্ট্রেলিয়া।