অস্কারজয়ী মার্কিন অভিনেতা রবিন উইলিয়ামস (৬৩) আর নেই। পুলিশ ধারণা করছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ১১ আগস্ট সানফ্রান্সিসকোর কাছে বাড়িতে তাকে মৃত উদ্ধার করা হয়। এই বিখ্যাত অভিনেতার মৃত্যুতে হলিউডে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। হলিউড তারকা থেকে শুরু করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বারাক ওবামা (মার্কিন প্রেসিডেন্ট)
রবিন উইলিয়ামস বৈমানিক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, প্রেত, শিশু পরিচর্যাকারী, প্রেসিডেন্ট, অধ্যাপক, রূপকথার পিটার প্যান হয়ে আমাদের সামনে পর্দায় এসেছিলেন। তিনি আমাদের হাসাতেন, কাঁদাতেন। যেখানে যেমন মেধা দরকার ছিলো তা অবাধে ঢেলে দিয়েছিলেন তিনি।
স্টিভেন স্পিলবার্গ (চলচ্চিত্রকার)
রবিনের মধ্যে দর্শককে বিনোদন দেওয়ার অসাধারণ প্রতিভা ছিলো। সে তার হাস্যরসাত্মক অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে হাসির ফোয়ারা সৃষ্টি করতে পারতো। ও আমার বন্ধু ছিল। তার এভাবে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছি না।
কেভিন স্পেসি (অভিনেতা)
রবিন উইলিয়ামস পৃথিবীকে হাসিয়েছে এবং ভাবিয়েছে। আমি তার প্রতিভাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ ও সম্মান করি। একজন অসাধারণ মানুষ, শিল্পী ও বন্ধু ছিলেন তিনি। তার শুন্যতা অনুভব করবো সারাক্ষণ।
জন ট্রাভোল্টা (অভিনেতা)
রবিনের চেয়ে তাজা, তৃপ্তিদায়ক, বুদ্ধিমান, প্রফুল্ল ও সহানুভূতিশীল মানুষ আর পাইনি। একজন শিল্পী হিসেবে তার আন্তরিকতা ও অঙ্গীকার আমাদের মনোভাবকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি খুশি করে দিতো। তিনি আমাদের সবাই ভালোবাসতেন, আমরাও তাকে ভালোবাসতাম।
বেন স্টিলার (অভিনেতা)
রবিন উইলিয়ামসের মন, প্রাণ ও প্রতিভার বিশালতা বর্ণনা করা যাবে না টুইটারে। এটা দুঃখজনক। আমার বয়স যখন ১৩, তখন তার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিলো। তার অন্ধভক্ত ছিলাম আমি। মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন সহানুভূতিশীল। তার সঙ্গে যতদিন ছিলাম দেখেছি ভক্তদের প্রতি তিনি বরাবরই উদার ছিলেন। পৃথিবীতে তার প্রভাব খুবই ইতিবাচক। মানুষের কল্যাণে অনেক কাজ করে গেছেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে আমার মতো আরও অনেক মানুষের মধ্যে আনন্দ বিলিয়ে দিয়েছেন এই মানুষটি।
মিনি ড্রাইভার (গুডউইল হান্টিং ছবির অভিনেত্রী)
আজ পর্যন্ত রবিনের চেয়ে আর একজনকেও পাইনি যারা মানুষকে হাসাতে ভালোবাসতেন।
জিমি কিমেল (অভিনেতা-কমেডিয়ান)
মানুষ হিসেবে রবিন ছিলেন মধুর ও মজার। যদি বিষণœ থাকেন, অনুরোধ রইলো সবাইকে বলে দিন।
ক্রিস কলাম্বাস (মিসেস ডাউটফায়ার ছবির পরিচালক)
আমাদের সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ক ও ঈশ্বরপ্রদত্ত হাস্যরসবোধ সম্পন্ন এক প্রতিভাবে হারালাম। যিনি তার সময়ের সেরা অভিনেতাদের একজন ছিলেন। রবিনের কাজ দেখা ছিল জাদুময় ও সৌভাগ্যের মতো। জিনিয়াস খেতাবটি যাদের সঙ্গে মানায় তিনি ছিলেন তাদেরই একজন।
ল্যান্স আর্মস্ট্রং (প্রাক্তন সাইক্লিস্ট)
শান্তিতে থাকুন রবিন। বন্ধু হিসেবে তোমার কথা চিরদিন মনে পড়বে। আমি তোমাকে ভালোবাসি এবং প্রচন্ডভাবে তোমার শুন্যতা অনুভব করবো।
জে ক্রিস্টোফার (অভিনেতা)
‘দ্য ক্রেজি ওয়ানস’ টিভি সিরিজের কাজ শেষে জিনিসপত্র গোছানোর সময় রবিনের সঙ্গে ছবি তুলতে চাইছিলাম। পরে ভেবে দেখলাম আমি তো এ সেটের কেউ না। তিনি যদি আপত্তি জানান? কিন্তু তিনি আমার হাতে মুঠোফোন দেখে আমার ইচ্ছা বুঝে ফেলে বলেছিলেন, ‘তুমি কি আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চাও? ঠিক আছে এখন শুধু ছবি তোলার সময়।’ তার কথা শুনে চমকে উঠেছিলাম। এমন একজন জনপ্রিয় তারকার সরলতায় অবাক হয়েছিলাম। আমার দেখা সবচেয়ে নীরহঙ্কার মানুষ ছিলেন তিনি।