ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার দাগনভূঞা সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতা বেলায়েত হোসেন স্বপন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত আসনে দুইজন নারী সদস্য এবং দুইজন সাধারন ওয়ার্ড সদস্যও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
গত সোমবার সন্ধ্যায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষে তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন, “মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের আগের রাত থেকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের বেশকিছু নেতাকর্মী চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত হোসেন স্বপনের পক্ষে এলাকায় প্রকাশে মহড়া শুরু করেন এবং অপর প্রার্থীদের বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের নিকট থেকে অস্ত্রের মুখে জোর করে স্বাক্ষর আদায় করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেন। একই কায়দায় দুই নারী সদস্য ও দুই সাধারন সদস্যও বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।”
ভয়ভীতি দেখিয়ে ও অস্ত্রের মুখে স্বাক্ষর আদায় করা প্রসঙ্গে কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজী হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, “আগে জান বাঁচানো ফরজ।”
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন কোন ধরনের জোর বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সবাই তাকে সমর্থন করে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।”
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জায়েদুল হোসেন চৌধুরী জানান, গত সোমবার দাগনভূঞা সদর ইউনিয়ন পরিষদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থী মো. আবু নাছের, মো. নুর নবী হিরো, আবু সাঈদ, এ.জেড.এম গোলাম রসুল মেনন, মো. ইসরাফিল ও এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ফলে বেলায়েত হোসেন স্বপন একক প্রার্থী হওয়ায় তাবে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া অন্যন্যা প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় সংরক্ষিত ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডে বিউটি আক্তার, ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডে রিনা হালিম, সাধারন ২ নং ওয়ার্ডে মো. শাহীন আলম ও ৬ নং ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম লাভলুকে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ২৭ আগষ্ট শুধুমাত্র ৭টি সাধারন ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। সেখানে চার জন প্রার্থী আবুল হাসেম বাহাদুর, একেএম কামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ আনোয়ারুল কবীর ও মো. আহছান উল্যাহ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
এ ইউনিয়নে বর্তমানে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসাবে তিনটি ওয়ার্ডে প্রার্থী ৬ জন, নয়টি সাধারন ওয়ার্ডে ৪৭ জন প্রার্থী চুড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ২৭ আগষ্ট নির্বাচন।