কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে সুবল চন্দ্র দাস।
কিশোরগঞ্জে প্রেমিকা ও স্ত্রী হত্যার পৃথক দুটি চাঞ্চল্যকর মামলায় জামাল মিয়া নামে এক প্রতারক প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড এবং স্ত্রী হত্যার দায়ে মলাই মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আ.ম. মো. সাঈদ এবং তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন চাঞ্চল্যকর এ দুটি মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত জামাল মিয়া নেত্রকোনা জেলা সদরের দাপুনিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মলাই মিয়া কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া এলাকার হাছু মিয়ার ছেলে। মলাই মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এরা দুজনই বর্তমানে কিশোরগঞ্জ কারাগারে অন্তরীণ রয়েছে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, দাপুনিয়া গ্রামের ফুল মিয়ার মেয়ে স্বপ্নার সঙ্গে একই এলাকার জামাল মিয়া নামের ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুজনই ঢাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করত। ২০১০ সালের ২৩ নভেম্বর বিয়ের কথা বলে জামাল স্বপ্নাকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসছিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভৈরব দুর্জয় মোড় এলাকায় বাস থেকে নেমে জামাল কৌশলে স্বপ্নাকে একটি সিএনজি স্টেশনের পাশের রাস্তায় নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরদিন সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশ থেকে স্বপ্নার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে ভৈরব থানার এসআই সজল কান্তি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত বিচার প্রক্রিয়া শেষে এ রায় দেন। অপর দিকে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ২০০২ সালের ২৩ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া এলাকার মলাই মিয়া তার স্ত্রী হেনা খাতুনকে ছুরিকাঘাত করে। কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ নভেম্বর হেনার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা মোগল মিয়া বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০০৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।