ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে ভারত সরকার কাঁটাতারের বেড়া দিয়েই থেমে থাকছে না। এবার সীমান্তে বসানো হচ্ছে সেন্সর। এ সেন্সর নিকটবর্তী সীমান্ত চৌকিতে পৌঁছে দেবে সব তথ্য। আর এর ফলে নজরদারি যেমন অনেক সহজ হবে, তেমনি চটজলদি ব্যবস্থা গ্রহণও সহজ হবে। সমপ্রতি বিএসএফের এক অনুষ্ঠানে সাবেক সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নেচল সান্ধু জানিয়েছেন, আমাদের একটা ‘ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ প্রয়োজন। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়াটা তারই একটি অঙ্গ। পাশাপাশি সেন্সর বসানো হচ্ছে সীমান্তে। নিকটতম সীমান্ত চৌকিতে পৌঁছে যাবে সেন্সরের তথ্য। এদিকে নদীনালার কারণে যেসব জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেয়া সম্ভব হয় নি সেসব জায়গায়ও বেড় দেয়া হবে নতুন কায়দায়। সে জন্য সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে সে দেশের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর সফরে গিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন বলে জানা গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়েছে, নদীনালার কারণে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় যে ফাঁক তৈরি হচ্ছে, তা সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতা দিয়েই পূরণ করা সম্ভব। সিঙ্গাপুরের সৈকতে ওই বিশেষ ধরনের বেড়া যথেষ্ট কার্যকর হয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরের আদলে সীমান্তের জলা জায়গায় বেড়া বসানোর কাজ যে বেশ কঠিন ও ব্যয়সাপেক্ষ তা স্বীকার করে নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০০৩ সালে সিঙ্গাপুরের পুলাউ উবিন সমুদ্র সৈকতে এক বিশেষ ধরনের বেড়া দেয়া হয় অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে। সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, দৃষ্টিকটু লাগলেও অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রুখতে এ বেড়া খুবই কার্যকর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও মনে করছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের যে সব জায়গায় জলের কারণে কাঁটাতারের বেড়া থমকে গেছে, সেখানে এ ‘সিঙ্গাপুরি বেড়া’ বসাতে পারলে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধের কাজ অনেক সহজ হবে।