বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের জন্য আবেদন করেছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে কোম্পানিটি ২১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা উত্তোলন করবে। জানা গেছে, ১১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা মূলধনের এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন এর আগে ২০১৩ সালের ১লা অক্টোবর প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে। কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ৩৪ টাকা প্রিমিয়ামে প্লেসমেন্টে শেয়ার ছেড়েছে। তবে আইপিওতে ৩৮ টাকা প্রিমিয়ামে আসার আবেদন করেছে। আইপিওতে ৪৮ টাকা দরে মোট ২১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা উত্তোলন করবে এনার্জিপ্যাক। যার ৮৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা এলপিজি স্টোরেজে, ৯২ কোটি ১০ লাখ টাকা কনডেনসেট প্লান্ট, ৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ ও বাকি ৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা আইপিওতে ব্যয় করা হবে বলে প্রসপেক্টাসে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১০ সালের ১৫৬ কোটি টাকার টার্নওভার বা বিক্রয় ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ১৫৮ কোটি টাকায়। তবে ২০১২ সালে কমে দাঁড়ায় ৫০২ কোটিতে। ২০১১ সালের তুলনায় ২০১২ ও ১৩ সালে বিক্রয় কমলেও কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে বলে প্রসপেক্টাসে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি মুনাফায় ফিরতে শুরু করেছে। ২০১১ সালে নিট মুনাফা হয়েছে ৪৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ইপিএস ৩.৮৮ টাকা, ২০১২ সালে হয়েছে ৫৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বা ইপিএস ৫.০৮ টাকা ও ২০১৩ সালে হয়েছে ৬৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা বা ইপিএস ৫.৪৮ টাকা করে। মুনাফায় ফেরার পর কোম্পানিটি আইপিওতে আসার জন্য ২০১২ সালের ২২শে অক্টোবরে আবেদন করেছে। তবে এ কোম্পানির রিটার্ন অন ইক্যুইটির (ইক্যুইটির তুলনায় মুনাফা) হার অনেকাংশে কম। সর্বশেষ অর্থবছরে পরিশোধিত মূলধনের ক্ষেত্রে মুনাফা ৫৪.৮ শতাংশ হলেও রিটার্ন অন ইক্যুইটির হার ১৯.৬৪ শতাংশ। কোম্পানিটিতে মোট ইক্যুইটির পরিমাণ (মূলধন+রিজার্ভ) ৩৩২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ১৯৯৫ সালের ১৫ই জুলাই প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর পর ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়। রোড শো করে শেয়ারের নির্দেশক মূল্য (ইন্ডিকেটিভ দর) ৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া আইপিওতে আসলে ব্যবসা সমপ্রসারণ হবে এটাও পুঁজিবাজারে আসার অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে।