মুকুট ছাড়া কী আর রাজাকে মানায়? কখনোই নয়। অথচ কয়েকদিন আগে এই মুকুটটাই হারিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ‘রাজা’ সাকিব আল হাসান। আবার তা ফিরেও পেয়েছেন। গত বছর ডিসেম্বরের পর টেস্ট অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে আবারও এক নম্বরে উঠে এলেন সাকিব।
সাকিব সব শেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলেছেন ফেব্রুয়ারিতে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এরপর বাংলাদেশ খেলেনি আর কোনো টেস্ট ম্যাচ। দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়ে সাকিবকে টপকে গিয়েছিলেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। আবার ব্যর্থতার কারণেই নিচেও নেমে গেছেন।
১১ আগস্ট র্যাঙ্কিংয়ে সাকিব নেমে গেলেন এক ধাপ। সপ্তাহখানেক পরে এবার আবারও উঠে এলেন এক নম্বরে। বাংলাদেশের এ বাঁহাতি অলরাউন্ডার একে উঠে এসেছেন মূলত নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাজে ফর্মের কারণে।
সাকিবের রেটিং অপরিবর্তিত রয়েছে—৩৬৪। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাজে ফর্মের কারণে দুইয়ে চলে যাওয়া রবীচন্দ্রন অশ্বিনের রেটিং ৩৫৭ ও তিনে থাকা ভারনন ফিল্যান্ডারের রেটিং ৩৪৮।
সাকিব আল হাসান প্রথমবার টেস্ট ক্রিকেটে সেরা অলরাউন্ডার হয়েছিলেন ২০১১ সালের ডিসেম্বরে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে দারুন এক সেঞ্চুরি করেছিলেন।
তারপর বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন এই তারকা। নিয়েছিলেন সাত উইকেট। এরপর এক লাফে পাঁচ নাম্বার থেকে উঠে গিয়েছিলেন এক নম্বরে। তারপর টানা আট মাস ছিলেন শীর্ষে।
২০১১ সালে প্রথমবারের মতো এক নম্বরে থাকা সাকিবে রেটিং ছিল ক্যারিয়ার সেরা ৪০৪।