দেশব্যাপী খুনের রাজত্ব কায়েম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ২০ দলীয় জোট নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। চ্যানেল আই’র কাফেলা অনুষ্ঠানের উপস্থাপক শাইখ কাজী নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যার নিন্দা জানিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের আমলে দেশের মানুষ আর নিরাপদ নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং ক্ষমতাসীনদের হিংসাত্মক কার্যকলাপের কারণে বৃদ্ধি পাওয়া অপহরণ আর লাশের মিছিলের ভয়াবহ বাস্তবতায় দেশের আপামর জনসাধারণ সবসময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিন কাটাচ্ছে। তিনি বলেন, গতরাতে দুষ্কৃৃতকারীরা বিশিষ্ট আলেম শাইখ কাজী নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যার মধ্য দিয়ে আরেকবার প্রমাণ হলো যে, এই দেশে খুনের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দেশবাসী এমন একটা নৈরাজ্যকর থমথমে পরিবেশে বসবাস করছে, যেখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে একজন দ্বীনি আলেমকেও দুষ্কৃতকারীদের হাতে জীবন হারাতে হয়। অবৈধ সরকারের সৃষ্ট কুশাসনের করাল গ্রাস থেকে কেবল দেশের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীই নয় দেশের সম্মানীত বিশিষ্টজনরাও রেহাই পাচ্ছেন না। বিএনপি চেয়রাপারসন বলেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা আছে বলেই গুম, খুন ও অপহরণকারীরা ঘটনা ঘটিয়ে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। মাওলানা শাইখ কাজী নুরুল ইসলাম ফারুকীকে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের বিরাজমান খুনোখুনি ও রক্তারক্তির বীভৎস চিত্রটিই ফুটে উঠেছে। সারা দেশে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়েই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবেই প্রশ্রয় দিচ্ছে সন্ত্রাসী গডফাদার ও দুষ্কৃতকারীদের যাতে অরাজক ও ভীতিকর পরিস্থিতি বিদ্যমান রেখে অবৈধভাবে দখল করা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যায়। কারণ অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে নৈরাজ্য ও দুঃশাসনের বিকল্প নেই। এই অবৈধ ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে জনগণ নেই। তাই অনাচার ও অবৈধ কর্মকা-ে সমাজবিরোধী সন্ত্রাসীরাই এখন তাদের সবচেয়ে বেশি ভরসার স্থল। আর এইজন্য আশকারা পেয়ে সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হওয়ার সাহস পাচ্ছে। এইভাবে হত্যালীলা চালিয়ে দেশব্যাপী রক্তপাত ঘটানোর জন্য সরকারকে একদিন চরম ভয়াবহ পরিনতি ভোগ করতে হবে। অবিলম্বে মাওলানা ফারুকীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান খালেদা জিয়া।