পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন, গিনি, নাইজেরিয়া ও সেনেগালে প্রাণঘাতী এবোলা ভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবে প্রাণহানির সংখ্যা ১ হাজার ৯০০ ছাড়িয়েছে। গত কয়েক দিনে দ্রুত এ সংক্রমণটি ছড়িয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। কানাডার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবোলা নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। মানুষের জন্য এ প্রতিষেধক কতটা নিরাপদ, তা নির্ণয় করতে এ সপ্তাহেই পরীক্ষামূলকভাবে ওষুধটি প্রয়োগ করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে এবোলা নিয়ন্ত্রণ, ওষুধ সরবরাহ ও চিকিৎসা বাবদ ৬০ কোটি ডলার খরচ হতে পারে। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংখ্যা ধারণা করেছিল, ৪৯ কোটি ডলারেই তা সম্ভব হবে। গত মার্চে গিনির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ঘন জঙ্গলে প্রথমে এবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭৬ সালে প্রথম এ ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়। এদিকে এখনও পর্যন্ত এবোলার প্রতিষেধক বা চিকিৎসা সম্পর্কে অন্ধকারে রয়েছেন গবেষকরা। সম্প্রতি বানরের দেহে ‘জিম্যাপ’ ওষুধটি শতভাগ সফল প্রমাণিত হলেও, তা মানুষের দেহে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে। কানাডা যদিও পরীক্ষামূলক প্রতিষেধকটি তৈরি করছে, সে সংখ্যাটা পর্যাপ্ত নয় এবং এখনও সেগুলো ল্যাবরেটরিতেই রয়েছে। কারণ, কর্মকর্তারা নিরাপদে কিভাবে প্রতিষেধটি এবোলা আক্রান্ত দেশগুলোতে সরবরাহ করবেন, তার সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না। এদিকে এবোলা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের আগে তা ২০ হাজার মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।