জনতা ব্যাংকের বিদায়ী চেয়ারম্যান আবুল বারকাতের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘এই মন্তব্যের ওপরে কোন ধরনের মন্তব্য করতে আমার ইচ্ছেই হয় না। উনি (বারকাত) যেটা বলেছেন, আমার মনেও নেই। আমার মনে হয় ৫ বছর তাকে রেখেছি, যথেষ্ট। গতকাল সচিবালয়ে মাল্টিপারপাস ফান্ড বিষয়ক এক বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এর আগে এক অনুষ্ঠানে আবুল বারকাত অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, সুনামগঞ্জের হাওরে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় টাকা চেয়ে সুপারিশসহ জনতা ব্যাংকে চিঠি দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। টাকা না দেয়ায় জনতাসহ ৪ ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। মূলধন ও প্রভিশন ঘাটতির কথা বলে ৪ ব্যাংকের সিএসআর কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। অথচ জনতা ব্যাংকের মূলধন ও প্রভিশন ঘাটতি নেই। এ ব্যাংকের সিএসআর স্থগিত করে অর্থমন্ত্রী বোকামি করেছেন, অন্যায় করেছেন এবং এক ধরনের নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছেন। আবুল বারকাতের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী গতকাল এ কথা বললেন। আবুল বারকাতের উদ্দেশে তিনি বলেন, তার টার্ম শেষ হয়েছে। রিনিউ করা হবে না। সে জন্য তার দুঃখ থাকলে থাকতে পারে। মুহিত বলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থক লোকজন এবং তাদের মধ্যে ইনটেলেকচুয়াল জায়ান্ট অনেকেই আছেন। তাদের আমাদের দেখাশোনা করতে হয়। একজন চেয়ারম্যান অব দ্য বোর্ড অনন্তকাল থাকবেন এ রকম আশা করার কোন কারণ নেই। সিএসআর কেন বন্ধ করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কিছু ব্যাংকের বোর্ডের (পর্ষদ) টার্ম শেষ হয়ে যাচ্ছিল। এ সময় একটা প্রবণতা দেখলাম। সেটা হলো- সিএসআরে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা। এ জন্য সবার সিএসআর বন্ধ করা হয়েছে। সিএসআর নিয়ে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আরও ভাল ব্যবহার হতে পারতো। বৈঠকে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা উপস্থিত ছিলেন।