দেশে আমদানির গতি বেড়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে পণ্য আমদানি ব্যয় আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ১৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত অর্থবছরে পণ্য আমদানি বাবদ মোট ব্যয় হয়েছে চার হাজার ১৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। আর ২০১২-১৩ অর্থবছরের এই আমদানি ব্যয় ছিল তিন হাজার ৪০৮ কোটি ৩৬ লাখ ডলার।
এটি অবশ্য আমদানির সিঅ্যান্ডএফ মূল্য। অর্থাৎ পণ্য আমদানির সঙ্গে জাহাজীকরণ ও বিমা ব্যয় যুক্ত করে এই হিসাব করা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ ভিত্তিতে ২০১১-১২ অর্থবছরের তুলনায় ২০১২-১৩ অর্থবছরের পণ্য আমদানি বেড়েছিল ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে আরও দেখা যায়, একদিকে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়েছে, অন্যদিকে আমদানি করা কিছু পণ্যের দামও বেড়েছে। এ দুয়ের প্রভাবে দেশে পণ্য আমদানি ব্যয় বেড়েছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার কয়েক দিন আগে যে অর্থনৈতিক পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে আমদানি পরিস্থিতির ওপরও আলোকপাত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে চাল, গমসহ খাদ্যশস্যের দাম কিছুটা কমে যাওয়া এবং ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রা অর্থাৎ টাকা শক্তিশালী হওয়ায় সার্বিকভাবে আমদানি মূল্য বেড়েছে।
মেট্রো চেম্বার আরও বলেছে, শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি বেড়েছে। কেননা, ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত হওয়ার আভাস পেয়েছেন। কেননা, আপাতভাবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।
অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেনের ভারসাম্য সারণি অনুসারে গত অর্থবছর পণ্য আমদানি বাবদ ব্যয় দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৬৫৭ কোটি ডলার। এটি ২০১২-১৩ অর্থবছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। এটি হলো আমদানির এফওবি মূল্য। অর্থাৎ শুধু পণ্যের মূল্য। এর সঙ্গে জাহাজীকরণ বা বিমা ব্যয় যুক্ত হয় না। তবে লেনদেনের ভারসাম্য সারণিতে এসব ব্যয় সেবা খাতের বাণিজ্য যুক্ত হয়।