অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া, গ্যারেথ বেল কিছুদিন আগেও ছিলেন একে অন্যের সতীর্থ। রিয়াল মাদ্রিদে একসঙ্গে খেলার জন্য তাঁদের দুজনের বন্ধুত্ব হয়তো দারুণ। ফুটবল মাঠে দুজনের উদ্যাপনের ভঙ্গিটাও এক।
দুজনেই গোল করে দুই হাতের ১০ আঙুল এক করে তৈরি করেন একটি ‘হৃদয় চিহ্ন’। এখন প্রশ্ন উঠেছে এই হৃদয় চিহ্নের আসল মালিক কে, কে-ই বা প্রথম গোল উদ্যাপনে ব্যবহার করেছিলেন এই চিহ্নটি?
ডি মারিয়া রিয়াল ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এসেও উদ্যাপনের একই ভঙ্গিতে অনড়। গতকালও কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে গোলের পরও তিনি প্রদর্শন করেছেন সেই হৃদয় চিহ্ন। মজার ব্যাপার হচ্ছে বেলও একই সঙ্গে ক্লাব ও ওয়েলসের হয়ে উদ্যাপনে সমানে ব্যবহার করে চলেছেন একই চিহ্ন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কোনো গোপন প্রতিযোগিতা আছে কি না, কে জানে!
স্বভাবতই দর্শকদের মধ্যে প্রশ্ন, এই হৃদয় চিহ্ন প্রথম ব্যবহার করেছিলেন কে? জানা যায় সেই বেনফিকায় থাকার সময়, ২০০৯ সালেই ডি মারিয়া এই হৃদয় চিহ্ন প্রথম ব্যবহার করেছিলেন। এইকে এথেন্সের বিপক্ষে একটি ম্যাচে গোলের পর ডি মারিয়ার এই অভিনব চিহ্ন-প্রদর্শন আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। বেল তাঁর হৃদয় চিহ্ন ব্যবহার করা শুরু করেন ডি মারিয়ারও প্রায় বছর খানেক পরে। ২০১০ সালে। সে হিসেবে এটা বলে দেওয়াই যায় উদ্যাপনে ডি মারিয়াকে এক প্রকার অনুকরণই করে চলেছেন বেল।
এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক দুজনের এই উদ্যাপনের অন্তর্নিহিত অর্থটা। ডি মারিয়া নাকি এই চিহ্নের মধ্য দিয়ে ফুটবলের প্রতি নিজের ভালোবাসাকে প্রকাশ করেন। সর্বশেষ বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়সূচক গোলের পর প্রদর্শিত হৃদয় চিহ্নকে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর স্ত্রীর উদ্দেশে। বেল হৃদয় চিহ্নে স্মরণ করেন তাঁর বান্ধবী এমা রিয়াস-জোনসকে। দুজনেরই উদ্দেশ্য এক, ভালোবাসার প্রকাশ।
উদ্দেশ্য-বিধেয় যা-ই হোক না কেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্জেন্টিনা, রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা ওয়েলস ডি মারিয়া ও বেল যে দলের জার্সিই গায়ে দিন না কেন, সমর্থকেরা এই দুজনের কাছ থেকে হৃদয় চিহ্নের ‘বহুল ব্যবহার’ই প্রত্যাশা করেন।