যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা কবিরহাট সরকারি কলেজের ছাত্র মিজানুর রহমান সোহেলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল ৮টায় রাষ্ট্রদূত তাকে নোয়াখালী সার্কিট হাউসে নাশতা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। সোহেল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়। এ সময় ড্যান ডব্লিউ মজিনা তাকে কবিরহাট থানার নিজ গ্রাম, কবিরহাট সরকারি কলেজ এবং নোয়াখালী জেলা ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানান। সময় স্বল্পতার কারণে সব স্থানে যেতে না পারার কারণে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেন। মিজানুর রহমান রাষ্ট্রদূতকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং আমন্ত্রণে সাড়া দেয়ায় আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার মতে, আজকের দিনটি আমার জীবনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে, এ অর্জন সমগ্র নোয়াখালীবাসীর জন্য অনেক গর্বের ও গৌরবের, আমি আমার সার্বিক কাজে সহযোগিতার জন্য কবিরহাট সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক মো. আবু নাছির ভূঞা স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কবিরহাট সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞানের প্রভাষক আবু নাছির ভূঞা ও মিজানুর রহমানের পরিবারের অন্য সদস্যরা।
উল্লেখ্য, এর আগে মিজানুর রহমান চিঠির মাধ্যমে তার নিজ গ্রাম ও নিজ জেলা নোয়াখালীতে আমন্ত্রণ করেছিলেন ড্যান ডব্লিউ মজিনাকে ।
মঙ্গলবার রাতে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি একরামুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে নৈশভোজে যোগ দেয়ার আগে নোয়াখালী সার্কিট হাউসের ভিআইপি লাউঞ্জে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা কর্মসূচি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস, পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুল কাদের ও বাসাস কেন্দ্রীয় মহাসচিব মনিরুজ্জামান চৌধুরী, দি আমেরিকান সেন্টারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মেরিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, ড্যান ডব্লিউ মজিনা বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। এ দেশের উন্নয়নে আগের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব থাকবে। গতকাল লক্ষ্মীপুর সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি জেলা সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক এ কে এম টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। এ সময় পুলিশ সুপার শাহ মিজান মো. সাফিউর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শাহাদাত হোসাইন জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
ড্যান ডব্লিউ মর্জিনা আরও বলেছেন, লক্ষ্মীপুর একটি চমৎকার জায়গা, আমি এখানে এসে মুগ্ধ হয়েছি। বাংলাদেশের সয়াবিন উৎপাদনে লক্ষ্মীপুর শীর্ষে রয়েছে এবং লক্ষ্মীপুরকে সয়াবিনের রাজধানী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি সয়াবিন ফার্মে বড় হয়েছি, মেঘনা নদীর ইলিশ সম্পদ আমার দেশে যায়, আমি মাছের মধ্যে ইলিশ বেশি পছন্দ করি। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে মাতৃত্বকালনী মৃত্যুর হার অনেক কমেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী গ্রেস মজিনা, ইউএসএ এসডির মিশন ডিরেক্টর ডা. জেনিনা ইয়ারুইয়েলস্কি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কংকন চাকমা, জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ গোলাম ফারুক ভূঁইয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) নাজিম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সৈকত শাহীন, মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার আশফাকুর রহমান মামুন প্রমুখ।