ভারতের সঙ্গে কাবাডিতে হারটা অপ্রত্যাশিত নয় বাংলাদেশের। এশিয়ান গেমসে ভারতের সঙ্গে কখনও জিতেনি বাংলাদেশ। তাই বলে খেলার আগেই পরাজয় মেনে নেবে বাংলাদেশ? গতকাল সংদোর গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি জিমনেশিয়ামে তা-ই করলো বাংলাদেশ পুরুষ কাবাডি দল। কোন প্রতিরোধ ছাড়াই তারা ভারত কাবাডি দলের সঙ্গে হার মানলো ১৫-৩০ পয়েন্টে। পুরো ম্যাচই বসে কাটিয়েছেন দলের কোচ আবদুল জলিল। একটিবারও তাকে দেখা যায়নি খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলতে। কোন প্ল্যানও ছিল না বাংলাদেশ পুরুষ দলের। এর চেয়ে বরং ভাল করেছে বাংলাদেশ মহিলা কাবাডি দল। এশিয়ান গেমসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা ভারতের কাছে হেরেছে  ১৮-২৯ পয়েন্টে। পদক জয়ের লড়াইয়ে থাকতে হলে আজ মহিলা দলকে জিততে হবে স্বাগতিক কোরিয়ার সঙ্গে। বাংলাদেশ সময় সকাল সাতটায় এটা সম্ভব করতে পারলেই এশিয়াডে টানা দ্বিতীয়বারের  ব্রোঞ্জ জিতবে বাংলাদেশ মহিলা কাবাডি দল। টিকে থাকার মিশনে আজ ১২টায় পুরুষ দলের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। জিয়াদের কাছে নিয়মিত হারলেও এখন বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে পাকিস্তান। ২০০২ সালের পর এশিয়ান গেমসে দেশটির বিরুদ্ধে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। 
মহিলাদের খেলায় প্রথমার্ধেই একটি লোনাসহ ২২-৫ পয়েন্টে এগিয়ে যায় ভারত। পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধে পয়েন্ট পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন মালেকারা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। এই অর্ধে ভারত সাত পয়েন্ট অর্জন করলেও ম্যাট থেকে বাংলাদেশ তুলে নেয় ১৩ পয়েন্ট। কিন্তু তারপরও হার এড়াতে পারেনি লাল সবুজের মেয়েরা। রেইড, ক্যাচ এবং বোনাস। এই তিন বিভাগে যারা বেশি পয়েন্ট পাবে, ম্যাচে জিতবে তারাই। এই তিন বিভাগের মধ্যে বোনাস পয়েন্ট অর্জনের দিক দিয়ে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। মহিলা কাবাডি দলের অধিনায়ক শাহনাজ পারভীন মালেকা বলেন, ‘বোনাস পয়েন্টেই এগিয়ে গেছে ভারত। নইলে খুব হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো আমাদের সঙ্গে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, ভারত বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। তাদের বিপক্ষে এমন ফলাফল আগেও হয়েছে। তবে তারা অনেক এগিয়েছে। আমাদেরও যদি নিয়মিত অনুশীলন হয়, তাহলে আমরাও পারবো।’ 
এদিকে পুরুষ দল প্রথমেই ছিটকে পড়ে ভারতের বিপক্ষে। ১৬-৬ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা শক্তি ও মেধার বিকাশ ঘটিয়ে আরও নন পয়েন্ট সংগ্রহ করলে ভারতের পয়েন্ট দাঁড়ায় ১৪। ফলে ১৫-৩০ ব্যবধানে হার নিয়েই ম্যাট ছাড়েন জিয়াউর রহমানরা। ভারতে প্রো-কাবাডি খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দলের অধিনায়ক জিয়াউর রহমান। সেখানে তাকে ম্যাটেই নামানো হয়নি। তবে ইনচনে নামানো হয়েছিলো জিয়াকে। কিন্তু ভাল খেলতে পারেননি তিনি। বাধ্য হয়ে দ্বিতীয়ার্ধের আগেই তাকে সরিয়ে নিতে হয় কোচ আবদুল জলিলকে। সুবিধা করতে পারেনি প্রো কাবাডিতে খেলা আরদু জামানও।