ঘরোয়া বিনোদনের প্রধান মাধ্যম এখন টেলিভিশন। আর এই টেলিভিশন জগতের প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এলইডি বা লাইট ইমিটিং ডায়ড টিভি। উচ্চ ও মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে ঘরে ঘরে বাড়ছে এলইডি টিভির ব্যবহার। বিশেষ করে এবার ঈদুল আজহায় বেড়েছে এলইডি টিভির বিক্রি। রাজধানীর বিভিন্ন শোরুমে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদ বিনোদনের একটি প্রধান উপলক্ষ। আবার বিনোদনের প্রধান অনুষঙ্গ টেলিভিশন। এক সময় টিভি বিলাস পণ্য হলেও এখন তা নিত্যপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এলইডি টিভি এখন ঘরের শোভা। বিনোদনের আনন্দকে পরিপূর্ণ করে এলইডি টিভির ঝকঝকে ছবি, জোরালো শব্দ। ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এবারের ঈদে বিনোদনপিপাসু ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে এলইডি টিভি। বিক্রেতারা জানালেন, বেশি বিক্রি হচ্ছে দেশে তৈরি ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এলইডি টিভি। তাদের দাবি, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বিক্রি বেড়েছে। ওয়ালটনের শোরুমগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ওয়ালটনের প্রকৌশলী আবদুল মালেক সিকদার জানান, দ্রুতগতিসম্পন্ন অত্যাধুনিক এসএমটি মেশিনে তৈরি হচ্ছে ওয়ালটনের এলইডি টিভি। এই মেশিন ঘণ্টায় তিনশ’ পিস মাদার বোর্ড ও পাওয়ার বোর্ড উৎপাদন করতে পারে। এতে রয়েছে সর্বাধিক কনট্রাস্ট রেটিও। মডেল এবং স্ক্রিন সাইজের ওপর নির্ভর করে একমাত্র ওয়ালটন টেলিভিশন দিচ্ছে ১০০০:১ থেকে ৩০০০:১ পর্যন্ত কনট্রাস্ট রেটিও। ওয়ালটন এলইডি টিভির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে একই রকম নিখুঁত ও স্পষ্ট ছবি দেখা যায়। এছাড়া, ডাইনামিক নোয়েস রিডাকশন, ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম এবং মোশন পিকচার বৈশিষ্ট্যের জন্য ওয়ালটন এলইডি টিভির কদর বাড়ছে। এলইডি টিভির ক্ষেত্রে বাজারে মানসম্পন্ন ও আলোচিত ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে ওয়ালটন, মার্সেল, সনি-র্যাংগস, বাটার ফ্লাই, সিঙ্গার, মাইওয়ান, কনকা, এলজি ইত্যাদি। তবে দামে সাশ্রয়ী এবং বাংলাদেশের আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সঙ্গে মানানসই বলে ওয়ালটন এবং মার্সেল টিভি কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে দাবি করলেন প্রকৌশলী আবদুল মালেক সিকদার। ওয়ালটনের বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার বলেন, এবার ঈদ উপলক্ষে এলইডি টিভির চাহিদা ব্যাপক। আশা করি বাজারে এলইডি টিভির সঙ্কট হবে না। সেই সঙ্গে বিক্রির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরণ হবে। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর চেয়ে অনেক বেশি এবং আকর্ষণীয় মডেলের টিভি তৈরি করছেন তারা। রং এবং ডিজাইনে বৈচিত্র্য থাকায় ক্রেতাদের কাছে ওয়ালটন এলইডি টিভির চাহিদা বাড়ছে। তারা জানান, তাদের দ্রুতগতির প্রোডাকশন লাইনে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘ফোর হেডেড’ চিপ মাউন্টিং মেশিন। যা দিয়ে ৪৪টি নজেলের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় এক লাখ ২০ হাজার চিপ বসানো সম্ভব। রিমোটিংয়ের জন্য ওয়ালটন ব্যবহার করছে একটি কমন কোড। যার ফলে ওয়ালটনের সব টেলিভিশন একই রিমোট দিয়ে অপারেট করা সম্ভব। খুব শিগগিরই বাণিজ্যিকভিত্তিতে আইপিএস টেকনোলজি সমৃদ্ধ উচ্চ প্রযুক্তির ডিজিটাল এলইডি টেলিভিশন তৈরি করতে যাচ্ছে ওয়ালটন।