প্রিয় জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সদরঘাটে দক্ষিণাঞ্চল গামী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। সদরঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি লঞ্চেই ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
লঞ্চে তিল ধারণের জায়গা নেই। প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদের শত শত যাত্রী উঠেছে। যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। কষ্ট, বিড়ম্ভনার সত্ত্বেও ঈদে ঘরমুখো মানুষের মুখে লেগে আছে হাসি।
শনিবার সরেজমিনে সদরঘাটে গিয়ে এসব চিত্র দেখা যায়।
জাহিদ-৭ লঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘সিট পাইনি। তারপরও দাঁড়িয়ে যে যেতে পারছি এটাই বড় কথা।’
পটুয়াখালীগামী লঞ্চ ‘সাত্তার খান’-এর ছাদে উঠেছেন সবজি ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন। উদ্দেশ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করা।
তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করতে যাব। তাই এটুকু কষ্ট স্বীকার করেই ছাদে উঠেছি।’
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদিন জানান, ঈদে যাত্রীর প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। তবে রোজার ঈদের তুলনায় চাপ কম। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অতিরিক্ত যাত্রীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রীর বিষয়ে আমরা সচেতন রয়েছি। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র কয়েকটি টিম সার্বিক তদারকি করছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছেন।’
এদিকে প্রায় সব রুটের লঞ্চেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন লঞ্চ ঘুরে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য সময়ের চেয়ে এখন ডেকের ভাড়া ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। একজনের (সিঙ্গেল) কেবিন ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা হলেও এখন নেওয়া হচ্ছে এক হাজার ১০০ থেকে দেড় হাজার টাকা। দুজনের (ডাবল) কেবিন এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকার জায়গায় নেওয়া হচ্ছে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।
আফসার উদ্দিন নামে এক যাত্রী অভিযোগ করেন, ঈদ এলে লঞ্চ মালিকরা দোহাই দিয়ে অন্যান্য সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে থাকেন।