প্রবৃদ্ধির এই হারকে ‘সন্তোষজনক’ আখ্যা দিয়ে সংস্থাটি বলেছে, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসায় এই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।
সোমবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘সাউথ এশিয়া ইকনোমিক ফোকাস’ প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “সম্প্রতি বাংলাদেশ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে ফিরে আসায় তা দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রাখবে। সে কারণেই ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়াবে।
“আর এতে ধারণা করা যায়, বাংলাদেশ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকবে এবং প্রবাসীদের রেমিটেন্স বৃদ্ধি ও সরকারি অবকাঠামো বিনিয়োগ থেকে সৃষ্ট সামগ্রিক চাহিদার কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ ভোগও বাড়বে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর গড় প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হতে পারে।
‘এটাকে সম্ভাবনাময় এবং দারুণ’ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর ইতিবাচক প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়বে।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশটিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসায় এই প্রবৃদ্ধি অর্জনের পেছনে প্রধান ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
“এছাড়া সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও এই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে।”
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে ‘বিশেষ নজর’ দেওয়ার কারণেও প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে মনে করে বিশ্ব ব্যাংক।
প্রতিবেদনে ২০১৫ সালে ভারতে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, শ্রীলংকায় ৮ দশমিক ২, পাকিস্তানে ৪ দ শমিক ৪ এবং নেপালে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০১৪’ এর হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ‘অর্থনীতির ভিত্তি বেশ মজবুত’ হওয়ায় ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হতে পারে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাথমিক হিসাবে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬ দশমিক ১২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পেয়েছে।