সিরিয়া থেকে আগত শরণার্থীদের একটি শিবির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইপ এরদুগান।
কোবানিতে গত তিন সপ্তাহের যুদ্ধে ৪১২ জন বেসামরিক মানুষ ও যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
এরদুগানের ধারণা, তুরস্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই চরমপন্থি দলটি কোবানি শহরের দখল নিয়েছে।
এছাড়া আইএস জঙ্গিরা কুর্দি অধ্যুষিত শহরটি দখলের মাধ্যমে সীমান্তে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটবাহিনী কোবানিতে বিমান হামলা চালালেও আইএস এর আগ্রাসন থামাতে পারছে না।
ইসলামিক স্টেটকে থামাতে শুধু বিমান হামলাই যথেষ্ট নয়, বরং আরো বেশকিছু ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন এরদুগান।
তিনি বলেন, “শুধু বিমান হামলা চালিয়ে আইএসআইএস সমস্যার সমাধান হবে না। এই মুহূর্তে কোবানি ধ্বংসের মুখে।”
“আমরা পশ্চিমা বিশ্বকে আগেই সতর্ক করে দিয়েছি। আমরা তিনটি জিনিস চাইছি, যেগুলো হলো: ‘নো-ফ্লাই জোন, পাশাপাশি একটি ‘সিকিউর জোন’ এবং সিরিয়ার বিদ্রোহীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।”
এখন পর্যন্ত আইএস এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে তুরস্ক অংশ নেয়নি। এমনকি সীমান্ত এলাকায়ও দেশটির সেনারা নীরব রয়েছে।
কোবানি শহরের পূর্বাঞ্চলে দুই জায়গায় আইএস জঙ্গিদের পতাকা উড়তে দেখা গেছে। ওই দুই এলাকায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া বন্দুক যুদ্ধের আওয়াজও পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবারও কোবানির পূর্ব ও মধ্যভাগ থেকে সাদা ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা গেছে। এদিন দুইটি অ্যাম্বুলেন্স কোবানি থেকে সীমান্ত পেরিয়ে তুরস্কে ঢুকেছে।
আয়েশা আব্দুল্লাহ নামের এক কুর্দি কর্মকর্তা টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, “সেখানে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। তাদের শহরের বাইরে রাখতে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করছি।