সম্প্রতি গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন, পূর্ণিমার রাতে মানুষের ঘুম ২০ মিনিট কম হয়।
এ বিষয়ে সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহলগ্রেনস্ক একাডেমির গবেষক মিখাইল স্মিথ বলেছেন, “গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা পূর্ণিমার রাতে গড়ে ২০ মিনিট কম ঘুমিয়েছেন এবং ঘুমিয়ে পড়ার সময় বেশি সমস্যা বোধ করেছেন। পূর্ণিমার সময় রেম স্লিপের (যখন মানুষ স্বপ্ন দেখে) পরিমাণ বেড়ে যায়।”
চন্দ্রকলার সঙ্গে ঘুমের সম্পর্ক আছে, এমন একটি তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী স্বাস্থ্যবান ৪৭ জনকে নিয়ে গবেষণাটি সম্পন্ন করা হয়।
“পূর্ণিমার সময় মস্তিষ্ক সহজেই আশপাশের পরিস্থিতি দিয়ে প্রভাবিত হয়,” বলেন স্মিথ।
২০১৩ সালেও সুইজারল্যান্ডে করা এক গবেষণায় পূর্ণিমা ঘুমকে প্রভাবিত করে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, পূর্ণিমার রাতে মানুষ ২০ মিনিট কম ঘুমায়, ঘুমিয়ে পড়তে ৫ মিনিট বেশি সময় নেয় এবং সাধারণ দিনের চেয়ে স্বপ্ন দেখে বেশি (৩০ মিনিট)।
গবেষকরা বলেছেন, “আমাদের শরীরের ভিতর হয়তো একটি বায়োলজিক্যাল ঘড়ি রয়েছে আর তা চাঁদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়।”
এ বিষয়ে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, স্পর্শকাতরতা (যা মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্স’র উত্তেজনা থেকে মাপা হয়) পূর্ণিমার সময় সবচেয়ে বেশি থাকে।
পূর্ণিমা নারীপুরুষ উভয়ের মাঝেই প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। কিন্তু এ সময় ঘুমাতে পুরুষদেরই বেশি সমস্যা হয়।
এই গবেষণার ফলাফল সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী ‘কারেন্ট বায়োলজি’তে প্রকাশ পেয়েছে।