ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান)
আসনের বিএনপির সাবেক সাংসদ হাফিজ
ইব্রাহীমের বোরহানউদ্দিন
উপজেলা সড়কের বাড়ি ‘কুড়ালিয়া হাউস’-
এ গত বুধবার
রাতে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময়
ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ইটপাটকেল ও রড ছুড়ে বাড়ির দরজা-
জানালা ও আসবাব ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির স্থানীয়
নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ ও এর
অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ
হামলা চালিয়েছেন। তবে স্থানীয় সাংসদ
দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপির
বিদ্রোহী পক্ষ এ হামলা চালিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার
দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়,
কুড়ালিয়া হাউসের প্রধান ফটকের তালা,
বাতি, নিরাপত্তাপ্রহরীর কক্ষ, বাড়ির
একাধিক জানালার কাচ, ফুলের টব
ভাঙা। বাড়ির মধ্যে কয়েক শ ইটের টুকরা,
রড ও লাঠিসোঁটা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।
দেয়ালে-জানালায় দায়ের কোপের চিহ্ন।
হাফিজ ইব্রাহীম বিএনপি জাতীয়
নির্বাহী কমিটির সদস্য ও
ভোলা জেলা কমিটির উপদেষ্টা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত
১১টার দিকে আওয়ামী লীগ ও এর
অঙ্গসংগঠনের কয়েক শ নেতা-
কর্মী বিক্ষোভ
করতে করতে কুড়ালিয়া হাউসের
সামনে এসে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। এ
সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। অন্ধকারের
মধ্যে তাঁরা প্রধান ফটক
ভেঙে ভেতরে ঢুকে ইটপাটকেল ও রড নিক্ষেপ
করে বাড়ির দরজা, জানালা ও আসবাব
ভাঙচুর করতে থাকেন। প্রায় এক
ঘণ্টা তাণ্ডব চলে। পরে পুলিশের গাড়ির
শব্দে তাঁরা পালিয়ে যান।
হাফিজ ইব্রাহীমের স্ত্রী ও
বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির
সাধারণ সম্পাদক
মাফরুজা সুলতানা গতকাল দুপুরে নিজ
বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘প্রায়
আট বছর পর ছেলে ব্যারিস্টার মারুফ
ইব্রাহীমকে নিয়ে ঈদুল আজহা পালনের
জন্য ভোলায় আসি। শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য
আত্মীয়স্বজনসহ শত শত দলীয় নেতা-
কর্মী আসছে দেখে আওয়ামী লীগের
নেতারা আমাদের জনপ্রিয়তা সহ্য
করতে পারেনি। এ জন্য আমাদের হত্যার
উদ্দেশ্যে শতাধিক সন্ত্রাসী পাঠিয়ে এ
হামলা চালিয়েছে।’
মাফরুজা সুলতানা আরও বলেন, ‘পুলিশ
আগে আমাদের
নিরাপত্তা না দিয়ে সন্ত্রাসীরা চলে যা
পরে এসেছে।’ সংবাদ
সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ
সম্পাদকসহ জেলা-উপজেলার
নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ভোলা-২ আসনের আওয়ামী লীগের
সাংসদ আলী আজম মুকুল বলেন, ‘কয়েক দিন
ধরে কুড়ালিয়া হাউসে বিএনপির তৃণমূল
কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সেখানে পদবঞ্চিত,
যারা কমিটিতে আসতে পারেনি, তারাই
ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনার
সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত নয়।’
পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান বলেন,
রাতে বিদ্যুৎ না থাকায়
দুর্বৃত্তরা বিএনপির সাবেক সাংসদের
বাসায় হামলা ও ভাঙচুর করেছে।
তবে দুর্বৃত্তরা কোন দলের বলা মুশকিল।
এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।