বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসছে ওষুধ খাতের কোম্পানি দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। তিনটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একমি পাঁচ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান সিনহা। ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের ঢুলিভিটায় নিজস্ব কারখানায় শনিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান ও একমির অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মিজানুর রহমান বলেন, একমি ২০১৪ সালের জুনে এক হাজার ২১ কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি করেছে। এতে মুনাফা হয়েছে ৮৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সর্বশেষ শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫.৬৫ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৬.১৬ টাকা। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ৬০ বছরের পুরনো। বর্তমানে এ প্রষ্ঠিানটির মোট সম্পদমূল্য প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। একমি ল্যাবরেটরিজের মনোনীত পরিচালক ও আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ খাতের মধ্যে একমি ল্যাবরেটরিজ আয়ের ভিত্তিতে প্রথম পাঁচটির মধ্যে অন্যতম। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির প্রয়োজন। এ কথা বিবেচনা করেই একমিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব নিয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশে ওষুধ খাতের নেতৃত্বে আছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড। তারা বছরে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার মতো ওষুধ বিক্রি করে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তিনটি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো- ইনসেপ্টা, বেক্সিমকো ফার্মা ও একমি। তিনি দাবি করেন, দেশীয় বাজারের ৮ শতাংশ ওষুধের চাহিদা পূরণ করছে একমি। আগের বছরের তুলনায় ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির ওষুধ বিক্রির হার ১৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতিষ্ঠানটি মোট বিক্রির ৫ শতাংশ রপ্তানি করে থাকে। বর্তমানে ২০টি দেশে একমির ৭০টি ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু বলেন, সংশোধিত বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে একমি ল্যাবরেটরিজের যে দর নির্ধারিত হবে তাতে ইস্যুয়ার ও বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। এতে কোম্পানির স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। এ দিকে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, ওষুধ খাতের বড় বড় কোম্পানি পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত নয়। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্তির প্রয়োজন। আর আইসিবি ভাল মানের কোম্পানি তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছে।