গত একটি মাস ঈদমুখী ব্যস্ততাতেই কেটেছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীরের সময়। এই সময়ে ঈদের বেশ ক’টি অনুষ্ঠানের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন তিনি। ঈদে তার একাধিক অনুষ্ঠান প্রচার হয়েছে। এর মধ্যে একটি অনুষ্ঠানে তিনি ডলি সায়ন্তনীর ‘হে যুবক’ গানটিও গেয়েছেন। এদিকে ঈদের অনুষ্ঠানের বাইরে স্টেজশো নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করেছেন তিনি। দেশের বিভিন্ন স্থানে স্টেজশো করছেন। গত দুটি মাস অ্যালবাম ও মিউজিক ভিডিও কেন্দ্রিক ব্যস্ততাও কম ছিল না গ্ল্যামারাস আঁখির। গেল রোজার ঈদে প্রকাশ হয়েছিল তার নতুন একক ‘বোকা মন’। অ্যালবাম প্রকাশের আগেই ‘জোরকা ঝাটকা লাগে ধিরে’ গানটির অডিও-ভিডিও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে দর্শকমহলে। এখানে দুর্দান্ত পারফরমেন্সও করেছেন তিনি চিত্রনায়ক ফেরদৌসের সঙ্গে। অন্যদিকে অ্যালবামের ‘বোকা মন’-এর ভিডিও প্রশংসিত হয়েছে মানের দিক থেকে। তবে গত এক মাসে আঁখি যে গানটির মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন সেটি হলো ‘শ্যাম পিরিতি’। গানটির কথা-সুর-সংগীতায়োজন করেছেন শওকত আলী ইমন। এরই মধ্যে ঝকঝকে একটি মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে গানটি ভাল দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। যার মাধ্যমে গান দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এলেন আঁখি। এই গানেও তার পারফরমেন্স প্রশংসিত হয়েছে। ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন কিরন মেহেদী। এ বিষয়ে আঁখি আলমগীর বলেন, ‘শ্যাম পিরিতি’ প্রকাশের পর থেকেই যে রেসপন্স পাচ্ছি সেটা বোঝানো যাবে না। মানুষ এই গানটি এতো পছন্দ করবে বুঝিনি। এখন নিজেকে সার্থক মনে হচ্ছে। এর জন্য গানটির সুরকার-সংগীত পরিচালক ইমন ভাই ও ভিডিও নির্মাতা মেহেদীকে অনেক ধন্যবাদ। ‘বোকা মান’ যেহেতু একটি ধীরগতির মেলোডিয়াস গান, তাই আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল ফাস্টবিটের একটি গান ভিডিও করার। সে অনুযায়ী ‘শ্যাম পিরিতি’ গানটি করা। সবাই অনেক প্রশংসা করছেন গানটির। এদিকে আঁখি চমক এখানেই শেষ হচ্ছে না। খুব শিগগিরই আরও দু-একটি গানের মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করতে যাচ্ছেন তিনি। তবে গান দিয়ে নিয়মিত শ্রোতা মাতালেও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নিয়ে মহাবিপদেই পড়েছেন আঁখি আলমগীর। ফেসবুকে তার কোন একাউন্টই নেই। কিন্তু তার নামে ফেসবুক পেজ খুলে কে বা কারা তথ্য বিভ্রান্তিতে ফেলছে আঁখি ভক্তদের। প্রায় প্রতিদিনই সেই ফেইক একাউন্ট থেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়া হচ্ছে। যেমন, সম্প্রতি এই একাউন্ট থেকে তথ্য দেয়া হয়েছে সামনের বছরেই নজরুলসংগীতের অ্যালবাম করতে যাচ্ছেন আঁখি! কিন্তু বিভ্রান্তিকর এই তথ্য ও প্রযুক্তির অসৎ ব্যবহারের প্রতিবাদ করে আঁখি আলমগীর মানবজমিনকে জানান, আমি হতবাক। প্রযুক্তির ব্যবহার যে এতোটা ভয়ানক হতে পারে তা ফেসবুক দেখেই বুঝেছি। ফেসবুকে আমার কোন একাউন্ট কখনও ছিল না, এখনও নেই। অথচ আমার নামে একাউন্ট খুলে শ্রোতা-ভক্তদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি নজরুলসংগীতের অ্যালবাম করছি না। আপাতত কোন অ্যালবামের কথাই চিন্তা করছি না। বরং আরও সময় দিতে চাচ্ছি ‘বোকামন’কে। ভক্তদের উদ্দেশ্যে আবারও বলতে চাই, আমার ফেসবুক একাউন্ট নেই, কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। তবে খুব শিগগিরই নিজে একটি পেজ খোলার চিন্তাভাবনা করছি। সত্যিকারের একটি পেজ থাকলে হয়তো কেউ এমন প্রতারণা করার সুযোগ পাবেন না। অপেক্ষায় থাকুন।