আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু নোরিও’র

মেয়েদের দলের দায়িত্ব নিতে গত সপ্তাহে ঢাকায় এসেছেন সুকিতাতে নোরিও। তার অধীনে প্রতিদিন দুই বেলা অনুশীলন করেছে মহিলা জাতীয় ফুটবল দল ও অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল দল। দুই দলের সামনেই বড় দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। আগামী ১৫-২৩শে অক্টোবর ঢাকায় এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব। আগামী ১লা নভেম্বর থেকে ১৫ই নভেম্বর পাকিস্তানে হবে সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ। দুটো টুর্নামেন্ট সামনে রেখে ভীষণ ব্যস্ত সুকিতাতে নোরিও। অনুশীলনে এতটাই নিবেদিত যে সারা মাঠে দৌড়াদৌড়ি করে এবং বলে শট নিতে গিয়ে চোট পেয়েছেন। ডান পা এতটাই ফুলে গেছে যে, ঠিকমতো হাঁটতেও পারছিলেন না নোরিও। এক সপ্তাহ ঢাকায় এলেও গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলছিলেন নোরিও। কোন প্রশ্ন করলেই ক্ষমা চাইছেন, ‘ফেডারেশন আমাকে বলে দিয়েছে মিডিয়ার সঙ্গে কথা না বলতে। গতকাল উঠে গেলো নোরিওর সেই বাধ্যবাধকতা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের পরই কথার ঝাঁপি খুললেন নোরিও। হারতে নয়, বাংলাদেশের হয়ে জিততে এসেছেন তিনি। তবে তা কতটা বাস্তবসম্মত, নোরিও তা বলতে চাইলেন না। জাপান ফুটবল এসোসিয়েশনের সহায়তায় দুই মাসের চুক্তিতে ঢাকায় এসেছেন নোরিও। জাতীয় দলের জন্য তাকে আনা হলেও অনূর্ধ্ব-১৬ দলের উপদেষ্টা কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন লাউস জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ। ২৪ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম মহিলা দল নিয়ে কাজ করবেন নোরিও। তার মতে ফুটবলে কোন ভিন্নতা নেই। পুরুষ কিংবা মহিলা উভয় বিভাগের কৌশলও একই রকম। তাই প্রথমবার হলেও মহিলাদের নিয়ে কাজ করতে সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে জানান তিনি। মেয়েদের সঙ্গে সাতদিনের কাজের অভিজ্ঞতায় নোরিও বলেন, আসলে মেয়েদের বল রিসিভে সমস্যা রয়েছে। এটা দূর করতে পারলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করা সম্ভব। দেশের ফুটবল উন্নয়নে দুটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখার অনুরোধ জানান এই জাপানি কোচ। যার একটি হলো কোচিং এডুকেশন, অপরটি হলো তৃণমূলে ফুটবল জড়িয়ে দেয়া। এটা করতে পারলেই  দেশটির ফুটবল এগুবেই। 
স্থানীয় কোচের অধীনে গত দুটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করেনি বাংলাদেশ। কক্সবাজারে প্রথম সাফে সেমিফাইনালে  হেরেছিল ২০১০ সালে। শ্রীলঙ্কায় ২০১২ সাফে গ্রুপপর্বেই বিদায় নিয়েছিল সাবিনা খাতুনরা। এবার পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় বিদেশী কোচের শরণ নেয়া। অন্যদিকে এফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ২০শে আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে আবাসিক ক্যাম্প, আর ২০শে সেপ্টেম্বর থেকে চলছে সাফের ক্যাম্প। এরই মধ্যে অনূর্ধ্ব-১৬ দল ৬টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। জাতীয় দলের সঙ্গে দুটি ম্যাচ জিতেছে, হেরেছে দুটিতে। গত পরশু শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে জাতীয় দলের কাছে হেরেছে ৪-১ গোলে। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইরান, জর্ডান, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১৫ই অক্টোবর জর্ডানের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে শুরু বাছাইপর্বে বাংলাদেশের অভিযান। ১৭ই অক্টোবর  খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে, ১৯শে অক্টোবর ও ২৩শে অক্টোবরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভারত ও ইরান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *