প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের জন্যও অভিশাপ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার কারণেই দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তার কারণেই সারা দেশে গুম-খুন-হানাহানি-রক্তপাত লেগে আছে। শেখ হাসিনা শুধু দেশবাসী ও দেশের জন্য নয়, আওয়ামী লীগের মতো একটি পুরনো দলের জন্যও অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছেন। গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার মিরসরাই ছাত্রদলের আহ্বায়ক আদিল মাহমুদ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছেন। দেশে প্রতিদিন গড়ে ২০ জন মানুষ খুন হচ্ছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় যে এসব হত্যাকাণ্ড হচ্ছে সে বিষয়ে দেশবাসী নিশ্চিত। রিজভী বলেন, এ সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। কারণ এ সরকারের অধীনে দেশের মানুষের পক্ষে জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন ও কষ্টকর। দেশে খুন-খারাবি, রক্তারক্তি আর হানাহানির মাধ্যমে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষের শান্তি, স্বস্তি ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সিপাহশালার শহীদ জেহাদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মিলাদ মাহফিলে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা। এতে প্রমাণ হয়, সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারই কেড়ে নেয়নি এখন তারা ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও বেপোরোয়া হামলা চালাচ্ছে। এ সরকার জনগণের বিস্ফোরণের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।