শহীদ আফ্রিদি ভেবে পাচ্ছেন না এই দল নিয়ে পাকিস্তান কীভাবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে! যে দল আবুধাবির তক্তা উইকেটে শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় দুটি রান তুলতে পারে না, যারা দুবাই-শারজার ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে করে চলে অসহায় আত্মসমর্পণ, তারা কীভাবে অস্ট্রেলিয়ার-নিউজিল্যান্ডের কঠিন কন্ডিশনে নিজেদের মানিয়ে নেবে! অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ধবলধোলাই হওয়ার পর তাঁর উপলব্ধি, এমন ক্রিকেট খেললে মাত্র চার মাস পর অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে কপালে খারাপই আছে পাকিস্তান দলের।
আবুধাবিতে কাল পাকিস্তান দলের অধিনায়কত্বের দায় চেপেছিল আফ্রিদির কাঁধেই। মিসবাহ-উল-হকের অনুপস্থিতিতে সদ্যই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব পাওয়া আফ্রিদি দলকে দিয়েছেন নেতৃত্ব। এই ড্যাশিং অলরাউন্ডারের নেতৃত্বে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও ম্যাচটা জেতা হয়নি পাকিস্তানের। জয় থেকে মাত্র এক রান দূরে দাঁড়িয়ে খেলা শেষ করা পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের আত্মবিশ্বাস যে এখন তলানিতে, সেটা অকপটেই স্বীকার করেছেন আফ্রিদি। বলেছেন, ‘এমন উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে ২৩০ রানে বেঁধে ফেলেও শেষ রক্ষাটা হলো না। সম্পূর্ণ ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ছিল নিম্নে ২৮০ রান তোলা, কিন্তু সেটা তারা পারেনি। দুঃখের বিষয় তার পরও ম্যাচটা আমরা জিততে পারিনি।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে দলের মূল সমস্যাটা অবশ্য ভালোভাবেই চিহ্নিত করতে পেরেছেন আফ্রিদি, ‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচসহ তিনটি ওয়ানডে ম্যাচের একটিতেও দলের ব্যাটসম্যানরা ভালো কোনো জুটি গড়তে পারেনি। এই সিরিজে সমস্যা হচ্ছে এটাই। যখনই জুটি গড়ে ওঠার উপক্রম হয়েছে, তখনই আমরা উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছি।’
টানা বাজে পারফরম্যান্সের কারণে আবুধাবির শেষ ওয়ানডে ম্যাচে দল থেকে নিজেকে সরিয়েই রেখেছিলেন নিয়মিত অধিনায়ক মিসবাহ। এ ব্যাপারে আফ্রিদির বক্তব্য, বিষয়টি পুরোপুরিই মিসবাহর একান্ত নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে আমি মনে করি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব ছেলের হাতের মোয়া নয়। এটা খুব কঠিন একটা কাজ। আমি হই অথবা মিসবাহ, এটা সবারই মনে রাখা উচিত।’ সূত্র: এএফপি।