এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে ইংল্যান্ড কীভাবে খুশি হতে পারে? এমন যদি হতো খেলাটায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে, দাঁতে-দাঁত চেপে ৯০ মিনিট লড়ে জয়টা তুলে নিতে হয়েছে, তাতেও না হয় সান্ত্বনা খুঁজে নেওয়া যেত। কিন্তু পুরো সময়জুড়ে প্রতিপক্ষের অর্ধে প্রাধান্য বিস্তার করেও ন্যূনতম গোলের জয়টা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি ইংল্যান্ড কোচ রয় হজসনের কাছে। তার পরও তিনি খুশি শেষ পর্যন্ত পূর্ণ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারায়।
ইংলিশ অধিনায়ক ওয়েইন রুনির জন্যও এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল হতাশার। যদিও তাঁরই এক দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে জয় নিশ্চিত হয়েছে ইংল্যান্ডের, তার পরও তিনি পুরো খেলায় হাতছাড়া করেছেন বেশ কয়েকটি সহজ গোলের সুযোগ। অধিনায়কের এই হতাশাজনক উপস্থিতিতে কিছুটা বিরক্ত হজসনও, ‘ফ্রি-কিকটা দারুণ ছিল। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের এই রাতটা রুনি ভুলেই যেতে চাইবে। সে যে ধরনের গোলের সুযোগ মিস করেছে, সেটা তার মানের খেলোয়াড়ের সঙ্গে ঠিক যায় না।’
খেলা শেষ হওয়ার ১৭ মিনিট আগে, নিজের ৯৯তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেশের হয়ে ৪৩তম গোলটি করেন রুনি দারুণ কারিশমায়। কিন্তু প্রাপ্ত গোলের সুযোগ নষ্ট করার মুহূর্তগুলোই ম্লাণ করে দিচ্ছে কালকের ম্যাচে রুনির সব অর্জনকে।
খেলার ৭৩ মিনিটে এস্তোনিয়ার রক্ষণসীমার ঠিক বাইরে রাহিম স্টার্লিংকে ফেলে দিলে ফ্রি-কিক পায় ইংল্যান্ড। সেই ফ্রি-কিক থেকে গোলরক্ষক সার্গেই পারিকোকে বোকা বানাতে ভুল করেননি রুনি।
খেলার শুরুর দিকে এস্তোনিয়ার রক্ষণসীমায় আক্রমণের পর আক্রমণ করেও গোল পায়নি ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আক্রমণের ধারা কিছুটা কমে যায়। এই অর্ধে এস্তোনিয়া প্রতি-আক্রমণে ইংলিশ রক্ষণসীমায় আতঙ্ক ছড়ালেও তা গোল করার মতো ভয়ানক ছিল না। ৭৩ মিনিটে রুনির ফ্রি-কিকের গোলটিই শেষ অবধি ইংলিশদের জয়ের জন্য যথেষ্ট প্রমাণিত হয়। এস্তোনিয়ার বিপক্ষে এই জয়ে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে টানা তিনটি ম্যাচেই জয় পেল ইংল্যান্ড।