জিসান আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যে বয়স লেখাপড়া করার সময় ঠিক সে বয়সেই অনেক মেধাবী শিশু বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে বেছে নিচ্ছে কর্মময় জীবন।
এমনই এক শিশুর নাম মানিক। বয়স মাত্র ১২ বছর। এই অল্প বয়সে সে আলমসাধু চালিয়ে সংসার চালায়। মানিকের বাবার বাড়ি জীবননগরের উথুলী গ্রামে। পরিবারে বাবা নেই। বড় বোনের বিবাহ হয়েছে অনেক আগেই। ছোট বোনটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। ছোট বোন ও মাকে নিয়ে তার সংসার। আলমসাধু চালিয়ে যা পায় তা দিয়ে কোন রকমে তাদের সংসার চলে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে জীবননগরের উথুলীর নুর আলমের ছেলে রফিকুলের সাথে নতিপোতা গ্রামের খেজমত আলীর মেয়ে আশিকা খাতুনের বিবাহ হয়। পরবর্তীতে রফিকুল দ্বিতীয় বিবাহ করেন দর্শনার সন্দেশপুরে। ঐ সময় শিশু মানিক তৃতীয় শ্রেনীতে পড়তো। অভাবের সংসারে বাবা না থাকায় তাকেই ধরতে হয় সংসারের হাল। তার খুব ইচ্ছা ছিলো লেখাপড়া করে অনেক বড় হবে কিন্তু তা অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়ে গেলো। বর্তমানে সে আলমসাধু চালিয়ে তাদের সংসার চালাচ্ছে। মানিকের সাথে কথা বললে সে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে। সে বলে, “ আশা ছিলো লেখাপড়া করে অনেক বড় হব, মায়ের স্বপ্ন পূরণ করব তা আর হলো না”। দেশে যদি মানিকের মত মেধাবী শিশুরা এভাবে ঝরে পড়ে তাহলে দেশ থেকে কিভাবে দূর হবে নিরক্ষরতা ও শিশুশ্রম ?
জিসান আহমেদ
চুয়াডাঙ্গা
০১৯৪৬-৮৫৩৩৮৪