আরজে সাইমুরঃ ৩১ অক্টোবর কুমিল্লার চান্দিনায় বরবেশে কনেবাড়ি যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব। তার সঙ্গে যাবেন পাঁচ শতাধিক বরযাত্রী। ইতোমধ্যে গায়ে হলুদ ও বৌভাত অনুষ্ঠানের তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২৯ অক্টোবর মন্ত্রীর গায়ে হলুদ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে শেষ পর্যায়ে রয়েছে কনের বাড়ির সড়ক সংস্কার কাজ। রেলমন্ত্রীর বিয়ের আয়োজন নিয়ে উৎফুল্ল কুমিল্লার আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কনের গ্রামের বাড়ি চান্দিনা উপজেলার মীরাখোলা গ্রামে বিয়ে উপলক্ষে বাড়ি সাজানোর প্রস্তুতিও চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কনের এক নিকটাত্মীয় উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির এক নেতা জানান, মন্ত্রী, সচিবসহ উচ্চপদস্থ ২০০ রাষ্ট্রীয় অতিথি এবং বরের নিজ নির্বাচনী এলাকা চৌদ্দগ্রাম এবং নিজ জেলা কুমিল্লার মিলিয়ে সর্বমোট পাঁচ শতাধিক বরযাত্রী চান্দিনায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
অতিথি আপ্যায়নে গ্রামের দেড়শ’ মানুষ কাজ করবে। ২২ অক্টোবর ডেকোরেশন, আলোকসজ্জার কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান। ঢাকা এবং কুমিল্লার দক্ষ টেকনেশিয়ানরা এসব কাজ করবেন।
কুমিল্লা ক্লাবের প্রধান বাবুর্চি মিল্টন রোজারিও তার সহযোগীদের নিয়ে ২৯ তারিখ রাতে কনের পিত্রালয় মিরাখোলা গ্রামে পৌঁছবেন। ওই রাত থেকেই তারা রান্নার প্রস্তুতি নেবেন। মেন্যু সম্পর্কে জানতে চাইলে মিল্টন রোজারিও কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরেকটি সূত্র জানায়, বিয়েতে মেন্যু হিসেবে কাচ্চি, রোস্ট, জালি কাবাব, জর্দা ও চাটনি রয়েছে। কনের বাড়িতে উভয় দিকে ১২শ’ মানুষের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে কনের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তাঘাট নির্মাণ কাজ আগামী ২৫ অক্টোবর এর মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আশা প্রকাশ করেন।
আগামী ১৪ নভেম্বর বৌভাত অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরের ২ নম্বর এলডি হলে সন্ধ্যা ৭টা থেকে বৌভাত অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ ভবনের হলে সাড়ে তিন হাজার এবং চৌদ্দগ্রামের অনুষ্ঠানে ৩০ হাজার মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আয়োজনের সমন্বয়ক করা হয়েছে রেলমন্ত্রীর নিজের ইউনিয়ন শ্রীপুরের চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদারকে। এ জন্য ৬০ সদস্যের একটি অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বৌভাতের কার্ড বিতরণ শুরু করেছে মন্ত্রীর পরিবার, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আ ফ ম আহসান উদ্দিন টুটুল জানান, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক একজন মাটির মানুষ। সারা জীবন মানুষ আর নেতা-কর্মী নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন। তার বিয়ের সিদ্ধান্তে আমরা আনন্দিত। তার দাম্পত্য জীবনের অগ্রিম সফলতা কামনা করছি।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বশুয়ারার এক ধার্মিক বংশে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৃত রজ্জব আলী, মাতা মৃত সোনাবান বিবি। আট ভাই ও এক বোনের মধ্যে মুজিবুল হক সবার ছোট। কনে হনুফা আক্তার রিক্তা বাবা মরহুম হাবিব উল্লাহ মুন্সী ও মা গৃহিণী জোসনা বেগমের পাঁচ মেয়ে, দুই ছেলের মধ্যে সবার ছোট।