ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভার নির্বাচনেই জয় পেয়েছে। আজ রোববার ঘোষিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, হরিয়ানায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। প্রথমবার এ রাজ্যের ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে তারা। আর মহারাষ্ট্রে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বিজেপি।
এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানা গেছে, এই দুটি রাজ্যেই এতদিন ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কিন্তু এবারের নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে তাদের। তারা হরিয়ানায় প্রধান বিরোধী দল হওয়ার মতো আসনও পায়নি। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর ছেলে দলের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী এই ফলাফল মেনে নিয়েছেন। তবে বিজেপির সভাপতি অমিত শাহর মন্তব্য, এই বিজয় কংগ্রেসমুক্ত ভারত তৈরির প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
শিবসেনার এক সূত্র সন্ধ্যায় বলে, উদ্ধব ঠাকরেকে বিজেপি প্রধান অমিত শাহ সরকার গঠন নিয়ে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দুটি রাজ্যে বিজেপির এই বিজয় গত মে মাসে মোদি-হাওয়ায় জেতা লোকসভা নির্বাচনেরই রেশ। দুটি রাজ্যে স্বয়ং মোদির ব্যাপক প্রচারণা তার দলকে জয় পেতে সহায়তা করেছে। গত ১৫ অক্টোবর এ দুই বিধানসভার নির্বাচন হয়েছিল।
মহারাষ্ট্র
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় ১২৩ আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৪৫টি আসন। অর্থাৎ সরকার গঠনের জন্য কারও না কারও সমর্থন দরকার হবে তাদের। বিজেপির পুরোনো ঘনিষ্ঠ সহযোগী শিবসেনা ৬৩ আসন পেয়েছে। এনসিপির সঙ্গে ১৫ বছর ধরে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস পেয়েছে ৪২টি আসন। এনসিপি পেয়েছে ৪১ আসন।
আসন ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা ও কংগ্রেস-জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) দীর্ঘদিনের গাঁটছড়া ভেঙে যায় নির্বাচনের আগে আগে। একলা চলো নীতি নিয়েই নির্বাচনে জয়ী হওয়া বিজেপির এ রাজ্যে সরকার গঠনের জন্য যে দুশ্চিন্তা তা হালকা করে দিয়েছে এনসিপি। দলের প্রধান প্রফুল্ল প্যাটেল বিজেপি সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দেন। মহারাষ্ট্র বিজেপির সভাপতি ও রাজ্যের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানান, এনসিপির এ প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে।
হরিয়ানা
হরিয়ানায় ৯০ আসনের মধ্যে বিজেপি সর্বোচ্চ ৪৭টি আসন পেয়েছে। জাতীয় লোকদল (আইএনএলডি) পেয়েছে ১৯টি আসন। হরিয়ানায় দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ১৫টি। এখানে জয়ের মাধ্যমে এক ইতিহাস সৃষ্টি করল বিজেপি। কেননা দলটি এর আগে কখনোই হরিয়ানায় ক্ষমতায় আসতে পারেনি। সর্বশেষ ২০০৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মাত্র চারটি আসন পেয়েছিল।