পুলিশের বাধায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে পারেনি চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন। গতকাল বিকালে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। পদচ্যুত মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর শাস্তির দাবিতে এই সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী আন্দোলন। বেলা তিনটার দিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে দৈনিক বাংলার মোড় ঘুরে এসে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়ে ও লাঠিচার্জ করে কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে ইসলামী আন্দোলনের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। পরে তারা কোন ঘোষণা ছাড়াই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের ভেতরে গিয়ে শতাধিক লোক জড়ো করে মিছিল করে। এ সময় পুলিশ বাধা দেয়। তারা পুলিশের বাধাকে উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ আহত হয়েছেন। ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দলের আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে কথা বললে শাস্তি হয়, অথচ ইসলাম এবং রাসুল (সা.)-কে কটূক্তি করে নাস্তিকরা কথা বললে সরকার নির্বাক থাকে। ইসলামপ্রিয় জনতা এর প্রতিবাদ করতে গেলে সরকার তাদের গতিরোধ করে উল্টো তাদের ওপর পেটোয়া বাহিনী লেলিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ঘটনাক্রমে মনে হচ্ছে লতিফ সিদ্দিকীর বহিষ্কার একটা আইওয়াশ। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের হামলায় সরকারের প্রকৃত রূপ প্রকাশ হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলার মাটিতে লতিফ সিদ্দিকীর ঠাঁই হবে না। সরকার যদি মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীর বিচার না করে তাহলে দেশের তৌহিদি জনতার রোষানলে পড়তে হবে। সমাবেশ পণ্ড করে দেয়ার প্রতিবাদে কাল সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেন চরমোনাই পীর।