সব দলের কাছে হার মানা যায়, জিম্বাবুয়ের কাছে নয়! বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ মানেই হলো মর্যাদার লড়াই। তবে এবারের সিরিজটা বোধ হয় তার চেয়েও বেশি কিছু। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেটের এই সিরিজ কেবলই একটা সিরিজ নয়, এর অন্য তাৎপর্যও আছে। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি ঘটানোর দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যপূরণের শুরুটাও যে এই সিরিজ দিয়েই!
‘বিগ থ্রি’র দ্বিস্তরবিশিষ্ট টেস্ট ক্রিকেটের তত্ত্ব পরিবর্তিত হয়ে শেষ পর্যন্ত যা হয়েছে, টেস্ট ক্রিকেটের ১০ নম্বর দল হিসেবে সেটাও বাংলাদেশের জন্য খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের র্যাঙ্কিংয়েও যদি বাংলাদেশ ১০ নম্বরেই থেকে যায়, তাহলে তাদের টেস্ট খেলতে হবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে চার ম্যাচের সেই সিরিজে হেরে গেলেও বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা থাকবে। তবে সেটি হবে মর্যাদাহানিকর এক পরিস্থিতি। সঙ্গে কিছু আর্থিক ক্ষতির ব্যাপারও থাকবে।
১০ নম্বরে থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে খেলার বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে এখন থেকেই সচেষ্ট বিসিবি। বিসিবি চাইছে ওই টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ দলের অবস্থান যেন অন্তত নয় নম্বরে থাকে। সে জন্য বাংলাদেশ দলকে যথেষ্ট পরিমাণ টেস্ট খেলার সুযোগ দেওয়ারও চেষ্টা চালাচ্ছে বোর্ড। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে নতুন যে এফটিপির কাজ চলছে, সেখানে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাখা হচ্ছে ২৬টি টেস্ট, যার অন্তত ৭৫ শতাংশ বাংলাদেশ দল খেলবে দেশের মাটিতে।