বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বেড়াতে আসা ভাই বোনকে আপত্তিকর কর্মকান্ডের মিথ্যা অভিযোগে জিম্মি করে মারধর করে শ্রমিকলীগ নেতার পুলিশ পরিচয়ে চাদা আদায় করে। এসময় তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা হাতিয়ে নেয় ও বিকাশর মাধ্যমে চাদা নিয়ে তুলে দেয় পুলিশের হাতে। পুলিশ পরিচয়ে জিম্মি ও চাঁদা আদায়ের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বরিশাল পুলিশ সুপার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পয়সারহাট নবনির্মিত ব্রিজ এলাকায় বেড়াতে আসে পার্শ্ববর্তী কোটালীপাড়া উপজেলার গচাপাড়া গ্রামের মৃত. আনোয়ার হোসেনের বিবাহিতা দুই মেয়ে রূপা আক্তার (২২) ও ময়না আক্তার (১৭) ও একই এলাকার ইউনুস মিয়ার ছেলে তাদের চাচাত ভাই ওসমান ইসলাম (২০) ও পার্শ্ববর্তী চিত্রাপাড়া গ্রামের মোহন মিয়ার ছেলে বোরহান মিয়া (৩০)। ওই দিন সন্ধ্যায় ভাই বোনের আপত্তিকর কর্মকান্ডের মিথ্যা অভিযোগ তুলে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পরিচয়ে তাদেরকে জিম্মি করে চাঁদত্রিশিরা গ্রামের গোলাম ফারুক বখতিয়ারের ছেলে বাগধা ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মিঠু বখতিয়ার ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে । তারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মিঠু ও তার সাথে থাকা ৮-১০জনের একটি দল বোরহান ও ওসমানকে মারধর করে আহত করে। এ সময় বোরহানের কাছে থাকা নগদ ২ হাজার ৫শত টাকা ও অন্যান্যদের কাছে থাকা ৫টি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয় তারা। এর পরে মিঠুর দেয়া মোবাইল নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে ৭ হাজার টাকা চাদা নিয়ে জিম্মিকারী ৪জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আগৈলঝাড়া পুলিশের এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ভাই-বোনসহ ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গতকাল রোববার সকালে আটককৃতদের ৫৪ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মিঠুর মা পেয়ারা ফারুক বখতিয়ার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেয়ার মা ও ছেলেকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। এব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ এহছান উল্লাহ জানান পুলিশ পরিচয়ে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় আগৈলঝাড়া থানা পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।