ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ স্নাতক শ্রেণিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন সুযোগ বহালের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে উপাচার্য বলেছেন, ওই সিদ্ধান্ত বদলাবে না।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল তাদের দাবির পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়। পরে অপরাজেয় বাংলার সামনে সমাবেশে আন্দোলনকারীরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য সময় বেঁধে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২৫ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক গণজমায়েত করে অবস্থান কর্মসূচি করারও ঘোষণা দেন তাঁরা।
দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। তাঁদের একটি অংশ রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে সবাই একত্র হয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে বিক্ষোভ করেন। বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এম আমজাদ আলী এসে তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তিনি বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ব্যানার কেড়ে নেন। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের চারপাশ ঘিরে ছিল।
পরে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শিক্ষার্থীদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে যান। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সালমান খান, তানজীদ রহমান, তাসনিহা সুমাইয়া, আহসান হাবিব প্রমুখ। ‘দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীবৃন্দের’ পক্ষে এ স্মারকলিপিতে তাঁরা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবির পক্ষে ছয়টি যুক্তি উপস্থাপন করেন।
স্মারকলিপিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর ‘স্বপ্ন নিয়ে’ পাতায় প্রকাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের একটি সাক্ষাৎকারের উল্লেখ করে বলা হয়, ‘যেসব শিক্ষার্থী প্রথমবার ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাননি, তাঁরা আপনার দেওয়া আশ্বাসে দ্বিতীয়বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আশায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। এ অবস্থায় এসব শিক্ষার্থী অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম সংগ্রহ করেননি। তাই দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ না পেলে তাঁদের শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হবে।’
স্মারকলিপিতে কারও স্বাক্ষর না থাকায় উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রথমে এটি গ্রহণে অপারগতা জানালেও পরে তা রেখে দেন। পরে এ প্রসঙ্গে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সবার সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত¯নেওয়া হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও দ্বিতীয়বার ভর্তির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক আসন অপচয় হবে। তাই এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই পরিবর্তন করা হবে না।