সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সের অবহেলায় সিয়াম নামে সাড়ে চারমাসের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিশুর মৃত্যুর পর উত্তেজিত আতœীয় স্বজন হাসপাতালের ভেতরে ভাংচুর করে। এ সময় নার্সেরদের মারধর করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে পুরিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের জানিগাঁও গ্রামের পরিবহন শ্রমিক লিটন মিয়া জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় তার সাড়ে ৪মাস বয়সী ছেলে সিয়ামের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে শহরের আলফাত ভবনে শিশু চিকিৎসক ডা. এনামুল হকের চেম্বারের নিয়ে আসেন। ডাঃ এনামুল শিশুটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তির জন্য পরামর্শ দিলে সিয়ামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশুর আত্বীয় স্বজনরা জানান, সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডা. রাজিব তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ধমক দিয়ে চলে যান। তারা শিশু ওয়ার্ডে গেলে প্রায় দেড় ঘন্টা পর তাকে ইনজেকশন দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর সিয়াম মারা যায়। নার্সদের চিকিৎসা সেবা দিতে বিলম্ব করায় সিয়াম মারা গেছে বলে তার অভিযোগ করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানায়, শিশুটি মারা যাওয়ার পর তার আতœীয় স্বজন শিশু ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি চেয়ার ভাংচুর করে। এ সময় তারা কয়েকজন নার্সকেও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এক পর্যায়ে ওয়ার্ড থেকে নার্সরা বের হয়ে যায়।
রোগীর আতœীয় স্বজনের সাথে দুর্ব্যবহারের বিষয়টি প্রসঙ্গে ডা. রাজিব সাংবাদিকদেরকে বলেন, আমি ধমক দেইনি। হৃদরোগে আক্রান্ত অন্য এক রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছিলাম। শিমুটির মা টেবিলে কাগজ ছুড়ে দেওয়ায় বিরক্ত ছিলাম। তবে আমি প্রয়োজনীয় ঔষধ লিখে দিয়েছি।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ এহছান উজ জামান জানান, শিশুটি ইনফেকশনে ভুগছিল। হাতের শিরা না পাওয়ায় ইনজেকশন দিতে বিলম্ব হয়। তিনি আরো বলেন, শিশুর আতœীয় স্বজন চিকিৎসকদের উপর কোনো অভিযোগ নেই। তারা নার্সদের উপর অভিযোগ করেছেন।
সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই এমরান হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশষ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।