কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ে আরও সহজ করলো ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে ওয়ালটন পণ্য ক্রয় করা যাবে সর্বোচ্চ ৩০ মাসের কিস্তিতে। এর আগে ২৫ মাসের কিস্তিতে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করতে পারতো গ্রাহকরা। গ্রাহকদের সুবিধা দিতে এবার কিস্তির মেয়াদ আরও ৫ মাস বাড়ানো হলো। এর ফলে মাসিক কিস্তির পরিমাণ কমবে। দেশজুড়ে ওয়ালটনের সব প্লাজায় এ সুবিধা পাওয়া যাবে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে কিস্তির মেয়াদ বাড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় ওয়ালটন। এতে বলা হয়, বিশেষ করে দেশের স্বল্প আয়ের মানুষ যাতে প্রযুক্তি পণ্যের সুবিধা ভোগ করতে পারেন সে জন্য কিস্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের প্লাজা ডেভেলপমেন্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ইভা রিজওয়ানা, অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসেন, উপ-পরিচালক মীর গোলাম ফারুক, ফার্স্ট সিনিয়র সহকারী পরিচালক সফিউল্লাহ লিটন ও আল মাহফুজ খান, মানবসম্পদ বিভাগের ফার্স্ট সিনিয়র সহকারী পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ওবায়দুল মোর্শেদ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ওয়ালটনের লক্ষ্য দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের ঘরে মানসম্পন্ন পণ্য পৌঁছে দেয়া। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ যাতে ফ্রিজ, টিভি, এয়ারকন্ডিশনার, মোটরসাইকেল ইত্যাদি পণ্য ব্যবহার করতে পারে সে সুযোগ দিতেই এই উদ্যোগ। ৯ই অক্টোবর থেকে দেশের সকল ওয়ালটন প্লাজায় ক্রেতাদের এই কিস্তি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। মোবাইল ফোন সেট বাদে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সব পণ্যের ক্ষেত্রে এই সুবিধা কার্যকর হবে। তবে ন্যূনতম সাড়ে ৮ হাজার টাকার পণ্য কিনলে কিস্তি প্রযোজ্য। ওয়ালটনের অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশী ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটন এখন দেশ-বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে, ক্রেতাদের আস্থার জায়গায় পৌঁছেছে। উচ্চ আয়ের মানুষের হাতেও সবসময় নগদ টাকা থাকে না। তাছাড়া, নিম্ন আয়ের ক্রেতারাও যাতে প্রযুক্তি পণ্যের সুবিধা ভোগ করতে পারেন, সেই চেষ্টাই আমরা করছি। প্লাজা ডেভেলপমেন্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ইভা রিজওয়ানা বলেন, এর আগে ২৫ মাসের কিস্তি সুবিধা ছিলো। তাতে ক্রেতাদের তরফ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এ কারণে ক্রেতাদের আরো সুবিধার কথা চিন্তা করে সর্বোচ্চ ৩০ মাসের কিস্তি সুবিধা দেয়া হচ্ছে।