কিংবদন্তি লোকসংগীত শিল্পী আব্বাস উদ্দিনের ১১৩তম জন্মদিন উপলক্ষে কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসে তাকে স্মরণ করা হয়। আব্বাস উদ্দিন স্মরণ সমিতি ও বাংলাদেশ উপদূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনের এই স্মরণানুষ্ঠানে শিল্পীকে স্মরণ করার পাশাপাশি লোকসংগীতে তার অবদান নিয়ে আলোচনা করা হয়। তার গাওয়া গানের মাধ্যমে শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান দুই বাংলার শিল্পীরা। বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে আয়োজিত এইস্মরণ সভার সূচনা অনুষ্ঠানে আব্বাস উদ্দিন স্মরণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুখবিলাস বর্মা বলেন, আব্বাস উদ্দিন শুধু একজন লোকসংগীত শিল্পীই ছিলেন না, তিনি বহু লোকবাদ্য উদ্ভাবন করেছিলেন। তাই লোকসংগীতের স্বরূপ জানতে হলে আব্বাস উদ্দিনকে বিশেষভাবে জানা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ উপদূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত উপহাইকমিশনার মিঞা মহম্মদ মইনুল কবীর বলেন, আব্বাস উদ্দিনকে না জানলে বাংলার পল্লীসমাজের স্বরূপটি জানা অসম্পন্ন থেকে যাবে। তিনি আরও জানান যে, অব্বাসউদ্দিন কোনও একটি দেশের নয়, তিনি ছিলেন এ উপমহাদেশের সংগীতশিল্পী। এদিনের অনুষ্ঠানে আব্বাস উদ্দিন স্মরণ সমিতির সভাপতি চন্দন চক্রবর্তীও লোকসংগীত চর্চায় আব্বাস উদ্দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। দুই দিনই দুই বাংলার শিল্পীরা আব্বাস উদ্দিনের সাড়া জাগানো গানগুলো পরিবেশন করেন। শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন আব্বাস উদ্দিনের নাতনি নাশিদ কামাল, বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী স্থপতি ভূষণ বর্মা, লোকগানের ব্যান্ড দোহার প্রমুখ।