মাঝখানের সময়টা খুব বাজে কেটেছে ভারতীয় টেনিসের গ্ল্যামার কুইন সানিয়া মির্জার। এতটাই বাজে যে ২০১০ সালের দিকে টেনিসই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
তবে সেই দুঃসময় তিনি কাটিয়ে এসেছেন বেশ ভালোভাবেই। সম্প্রতি তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে বিজেপির এক নেতার বিরূপ মন্তব্য তাঁকে বিচলিত করলেও এশিয়ান গেমসে সোনা ও সর্বশেষ গতকালকের ডব্লুটিএ শিরোপা তাঁকে আবার উজ্জীবিত করে তুলেছে। তিনি মনে করেন জীবনের সেরা টেনিসটা তিনি খেলছেন এখনই।
সুন্দর সময়ে দাঁড়িয়ে দারুণ একটা উপলব্ধিও তাঁর ভেতর বাসা বেঁধেছে, ‘ভাগ্যিস ওই সময় আমি টেনিস ছাড়ার সিদ্ধান্তটা নিইনি। চার বছর আগে আমার সময়টা এতটাই বাজে কাটছিল যে একপর্যায়ে টেনিস ছাড়ার ব্যাপারটা বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করছিলাম।’
নিজের বর্তমান সময়টা নিয়ে দারুণ খুশি সানিয়া, ‘দেখুন একজন ক্রীড়াবিদের জীবনে উত্থান-পতন আসতেই পারে। কিন্তু আমার সময়টা ছিল আসলেই খুব বাজে। আমি আর এখন অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে চাই না। বর্তমান নিয়ে আমি খুব খুশি। জীবনের সেরা টেনিসটাই এই মুহূর্তে খেলছি আমি। কিছু দিন আগে যদিও আমার দেশাত্মবোধ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিল। ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলাম তখন। তবে আমি ওসব নিয়ে এই মুহূর্তে ভাবছি না। সামনের বছর আমি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে ওঠার লক্ষ্যপূরণের দিকে ছুটব।’
কিছু দিন আগেই ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বের কাছ থেকে আক্রমণের শিকার হলেও সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভক্ত হয়ে গেছেন এই টেনিস তারকা, ‘ভাবতে পারবেন না তিনি কতটা প্রাণোচ্ছল। খেলোয়াড়দের কতটা ভালোবাসেন। তিনি আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছেন। শুধু আমি কেন, তিনি অনেক ক্রীড়াবিদকেই সম্মানিত করেছেন। তাঁর কথাবার্তা আমাদের আপ্লুত করেছে। তিনি মানুষকে খুব উজ্জীবিত করতে পারেন।’ সূত্র: এনডিটিভি অনলাইন।