ষ্টাফ রিপোটার:
রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরাঞ্চলের হতদরিদ্রের জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরী করা হয়েছে প্রাইমারী স্কুল। নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়া এসব মানুষ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। বিদ্যানুরাগীদের চেষ্টায় চরাঞ্চলে নয়টি প্রাইমারী স্কুল ও দুটি মাধ্যমিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হলেও এখানে নেই কলেজ। এমনই বাস্তবতায় ১৫টি পদ্মার চর এলাকায় ৯টি নির্মাণ করা হয়েছে প্রাইমারী স্কুল। স্কুলের তদারকি করছেন নদী ও জীবন প্রকল্প-২ এর ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর শিক্ষক আবদুল লতিফ। তিনি জানান, কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের সহযোগিতায় ও আইরিশ এইড এর অর্থায়নে কারিগরি সহায়তায় এবং সরকারি এনসিটিবি বই ব্যবহারের মাধ্যমে গত ২০১২ সালের জানুয়ারি হতে পিছিয়ে পড়া ও ঝরে পড়া বিচ্ছিন্ন এলাকা, দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চলের তিন শতাধিক শিশুদের নিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। চরের সেচ্ছাশ্রম স্কুলের শিক্ষক মেরিনা আক্তার, ববিতা খাতুন, কাকলী খাতুন, সামিরা আক্তার, আক্তার হোসেন, রায়হান আলী, আল¬াদি বেগম, নাজিম হোসেন জানান, স্কুল প্রতিষ্ঠায় আমরা সকলেই সাহায্যে এগিয়ে এসেছি। যে যা পারছে সেভাবেই সহযোগিতা করছে। তবে কেউ টাকা দিয়ে না, কায়িক শ্রম দিয়ে। নদী ও জীবন প্রকল্পের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা স্বেচ্ছাশ্রমে স্কুল চালায়।
সংস্থার ম্যানেজার আবদুল কাদের জানান, প্রকল্পের আওতায় চরাঞ্চলে বসবাসরত অতিদরিদ্র মানুষদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ, কৃষি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশান, বাল্য বিয়ে, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগী পালন, সামাজিক নিরাপত্তা ও অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করছে সমতা নারি কল্যাণ সংস্থা। প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, এখানে সরকারের পাশাপাশি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে শিশুদের শিখন শিখানো প্রক্রিয়াকে আরো উন্নত ও গতিশীল এবং মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বাঘা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী জানান, নদী ও জীবন প্রকল্প চর স্বাস্থ্য ও শিক্ষার হার নিশ্চিত করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।