সড়ক দুর্ঘটনার ফলে প্রতি বছর মোট জাতীয় আয়ের (জিডিপি) দুই শতাংশ ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, জিডিপির ২ শতাংশ কম শোনা গেলেও টাকার অংকে এর পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। গতকাল রাজধানীর আইসিএমএবি অডিটোরিয়ামে ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘সেবার পথে শুভযাত্রা-২০১৪’ শীর্ষক বিদায় ও ‘কৃতী শিক্ষার্থীদের সাফল্য স্বীকৃতি’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমাদের দেশে প্রতি বছর ১০ হাজার মানুষ মারা যায়। এদের হারানোর মাধ্যমে জিপিডির দেড় থেকে দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধি থেকে পিছিয়ে পরি। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সড়ককে নিরাপদ করার লক্ষ্যে আন্দোলন করে আসছে। সড়ককে নিরাপদ করার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর ২২শে অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের সেবায় শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান নিসচার চেয়ারম্যান। ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বলেন, আমারা সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য খাতে এসছে আমুল পরিবর্তন। আর তারসঙ্গে ট্রমার শিক্ষার্থীরা সরাসরি অবদান রেখে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরে সেবা দেয়ার আহ্বান জানান। এরপরে কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষাবৃত্তির চেক তুলে দেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিডিএমএ) সভাপতি ডা. মো. শামসুল হুদা, মহাসচিব ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম বাচ্চু, টাংগাইল ও ঘাটাইল ম্যাটসের পরিচালক রফিকুল বারী, ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার তানজিনা খান, ট্রমা আই এম টি এন্ড ম্যাটসের অধ্যক্ষ ডা. মনজুর আহমেদ, টাংগাইল ম্যাটসের অধ্যক্ষ ডা. মো. নুরুল ইসলাম ও শ্যামলী ম্যাটসের উপাধ্যক্ষ ডা. তাসনুভ আহমেদ। দক্ষ ও আদর্শবান মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও এসিসটেন্ট তৈরির লক্ষ্যে ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করে ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউটস। বর্তমানে ট্রমা সেন্টার মেডিকেল ইনস্টিটিউটসের অধীনে সাতটি শাখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে চার বছর মেয়াদি কোর্স করাচ্ছে।