আব্দুল মতিন ॥ তালা(সাতক্ষীরা)সংবাদদাতা:
পোরিবারিক বিরোধের জের হিসেবে, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফজিলা বেগম (৪২) নামের এক অসহায় মহিলার উপর নারকীয় হামলা চালিয়েছে দুই নরপশু! হামলায় মহিলার শরীরে স্পর্শকাতর দুটি স্থান সহ সমস্ত শরীর থেঁতলে গেছে। গুরুতর আহতাবস্থায় হতদরিদ্র মহিলাটি চিকিৎসার জন্য তালা হাসপাতালে ভর্তি হবার পর হামলাকরীরা নরপশুরা উল্টো মহিলার নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। নারকীয় হামলার শিকার ফজিলা বেগম উপজেলার মুড়াগাছা গ্রামের শারীরিক ও মানষিক প্রতিবন্ধি মজিদ সরদারের স্ত্রী। ওই হামলায় ফজিলা বেগম সহ তাঁর স্বামী ও দু’ সন্তানও আহত হয়।
আহত ফজিলা বেগম জানান, পারিবারিক নানান বিষয় নিয়ে পাশ্ববর্তি আবুল সরদার গংদের সাথে তাদের বিরোধ চলছিল। রোববার সকালে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাজেদ সরদারের স্ত্রী আয়মান বেগম ফজিলার শিশু কন্যা পিঞ্জিরা খাতুন (৮) এবং শিশু পুত্র কারিমুল (১২) কে পিটাতে থাকে। এসময় আয়মানের আক্রমন থেকে দু’ সন্তানকে উদ্ধার করার পর ফজিলা বেগমের উপর আবুল সরদারের দুই নরপশু পুত্র হালিম সরদার ও আশরাফুল সরদার নারকীয় হামলা চালায়। বাঁশ দিয়ে হালিম ও আশরাফুল ফজিলার শরীরের দু’ স্পর্শকাতর অঙ্গ সহ সমস্ত শরীর পিটিয়ে থেঁতলে দেয়। একপর্যায়ে নরপশুরা ফজিলাকে প্রকাশ্যে অর্ধনগ্ন করে পিটাতে থাকলে তাঁর চিৎকারে প্রতিবন্ধি স্বামী আব্দুল মজিদ সরদার এগিয়ে আসে। এসময় নরপশুরা প্রতিবন্ধি আব্দুল মজিদকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় ফজিলা বেগম তালা হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদিকে, নরপশু হালিম ও আশরাফুল পিতা-মাতা-সন্তানকে বর্বরভাবে পিটিয়ে আহত করার পর, ঘটনার মোটিভ ভিন্নখাতে নিতে তালা থানায় উল্টো একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। হামলাকারীদের পক্ষে প্রভাবশালীরা থানা পুলিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে তদ্বির অব্যাহত রেখেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে তালা থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম জানান, মারামারির বিষয়ে ফজিলা বেগমের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি, এবিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। এসময় তাকে হতদরিদ্র ফজিলার অমানবিক দিক জানালে, তিনি ঘটনার বিষয়ে নিজে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।