বিসিক গৃহীত কার্যক্রমের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের অবদান ক্রমেই জোরদার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান প্রায় ৩২% ও শিল্প শ্রমশক্তির পরিমাণ ২০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে বিসিকের কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর তাগিদ দেন তিনি। গতকাল শিল্পমন্ত্রী বিসিক শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত পরিষদের অভিষেক উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর বিসিআইসি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিসিক শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ)-এর নবনির্বাচিত সভাপতি মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিসিক চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন খান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতের উন্নয়নে বিসিকের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ৭৪টি বিসিক শিল্পনগরীতে এ পর্যন্ত ৪,৬২৬টি শিল্প কারখানা গড়ে ওঠেছে। এর মধ্যে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা ৯০৩টি। এসব শিল্পকারখানায় বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে শিল্পনগরীগুলোতে ৪২ হাজার ৫০৯ কোটি টাকার পণ্যসামগ্রী উৎপাদিত হয়েছে, যার মধ্যে ২৩ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানিযোগ্য। বর্তমানে বিসিক শিল্পনগরীগুলোতে ৫ লাখ ২৬ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। গত অর্থ বছরে সরকার বিসিক শিল্পনগরীর কারখানাগুলো থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।