ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ভবিষ্যতে ছয় লেনে উন্নীত করাসহ বন্দরনগরীর অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বেলা সোয়া ২টায় বন্দরনগরীর মুরাদপুরে ৫.২ কিলোমিটার দীর্ঘ আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
মুরাদপুরে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এই নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামবাসীর দাবি অনুসারে এই ফ্লাইওভার যাতে পরবর্তীতে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত নেওয়া হয় সে উদ্যোগ তিনি নেবেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ভবিষ্যতে ছয় লেনে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিযে তিনি বলেন, আমরা ঢাকায় বাস করলেও চট্টগ্রামের সাথে আত্মার সম্পর্ক আছে। চট্টগ্রামকে প্রকৃত বাণিজ্যিক রাজধানী হিসাবেই দেখা হয়।
আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারে মুরাদপুর থেকে ওয়াসা জংশন পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার চারটি লেইন থাকবে। এছাড়া দুই নম্বর গেইট থেকে বায়েজিদ পর্যন্ত দুই লেনের দশমিক শূন্য সাত কিলোমিটার (নিম্নমুখী) র্যাম্প ও অক্সিজেন থেকে জিইসিমুখী দুই লেইনের এক কিলোমিটার (ঊর্ধ্বমুখী) র্যা ম্প থাকবে। ৫.২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ফ্লাইওভারই হবে বন্দরনগরীর সবচেয়ে বড় উড়াল সড়ক।
এ ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় হবে ৪৬২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। দুই বছরের মধ্যে ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। নির্মান কাজে দায়িত্ব পেয়েছে ম্যাক্স-র্যাঙ্কিন জেভি। প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে আছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন ও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩৪, ৩৬ ও ৩৮ ইউনিটকে জাতীয় স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাস ও পরিবর্তন আনতে কাজ করছে সরকার। সরকার এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে সেনা সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।