আবারও পরকীয়ার জেরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর মিরপুরে পরকীয়ার জেরে স্বামীর হাতে ছেলেসহ স্ত্রী হত্যার ৬ দিনের মাথায় ফের এ ঘটনা ঘটলো।
মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল থেকে বুধবার দুপুর ২টার দিকে হুমায়রা খাতুন সোনিয়া (২৬) নামে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের দুই ভাই রিয়াদ উদ্দিন ও রাফি উদ্দিন রাফি তাদের বোনের স্বামী মো. ফারুকের বিরুদ্ধে ‘পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় শ্বাসরোধে হত্যার’ অভিযোগ তোলেন।
জানা যায়, হুমায়রার গলায় দাগ দেখতে পাওয়া গেছে। তবে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে, নাকি আত্মহত্যা করেছেন; তা ময়নাতদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে।
নিহত হুমায়রা খাতুন স্বামী মো. ফারুকের সঙ্গে মিরপুরের মনিপুর এলাকার ৭৬৩/২ নম্বর বাসায় থাকতেন। তার স্বামী স্ক্যান সিমেন্ট কোম্পানির বিপণন কর্মকর্তা।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ৯ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। হুমায়রা-ফারুকের সংসারে সূর্য (৫) ও তুর্য (৩) নামের দুটি ছেলে রয়েছে। তাদের উভয়ের বাড়ি ভোলা জেলায়।
হুমায়রার বড় ভাই রিয়াদের কাছে জানা যায়, ‘আমার বোনের স্বামী ফারুক চার বছর ধরে পরকীয়ায় লিপ্ত। কিছুদিন আগেও একটি মেয়ে নিয়ে থাইল্যান্ড ঘুরে আসে ফারুক। এ নিয়ে দুজনের (স্বামী-স্ত্রী) মধ্যে ঝগড়া হয়।’
রিয়াদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে আরও বলেন, ‘সকালে বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। দুপুর ১২টার দিকে আমাদের এক মামা বেলাল হাজীকে ফারুক ফোন করে বলে, হুমায়রার একটু সমস্যা হয়েছে। সে মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি আছে, আপনি এখানে আসেন। পরে আমাদের বিষয়টি জানালে তাকে মৃত অবস্থায় পাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে ফারুককে আর পাওয়া যায়নি। সে খবর দিয়ে পালিয়ে যায়।’
জানা যায়, পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় প্রায়ই হুমায়রাকে মারধর করত তার স্বামী।