রাজশাহী প্রতিনিধি:
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার রাজশাহীর বাঘা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসিকুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। বাঘা পৌর এলাকার মিলিক বাঘা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বাঘা থানা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে শুক্রবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে নেয়া হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র হালদার তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। এ ঘটনায় আটক উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য লাল বাহাদুরকেও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত। বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানান, মাতাল অবস্থায় বাড়ি থেকে তাদের আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে নেয়া হলে আদালত এ দন্ড দেন। দুপুরের আগেই তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। দন্ডিত তসিকুল ইসলামের বড় ভাই বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলতাব হোসেন অভিযোগ করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তার ছোট ভাই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ্রিয়ার আলমের প্রতিদ্বন্দ্বি প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা করছেন। আর এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাকে আটক করিয়েছেন। আলতাব হোসেন আরো অভিযোগ করেন, কাউন্সিলে তার ভাই তসিকুল ইসলামসহ অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকে ভোটার করা হয়নি। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার পছন্দের নেতাদের ভোটার করেছেন। এ সব বিষয়ে বিরোধিতা করায় তসিকুল ইসলাম সহ বেশ কয়েক নেতার উপর তিনি ক্ষুদ্ধ ছিলেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি আমিনুর রহমান। বর্তমানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ্রিয়ার আলম রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। অভিযোগ বিষয়ে জানতে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলেও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মুফোফোন সংযোগটি বন্ধ পাওয়ায়। উল্লেখ্য, রোববারের দলের কাউন্সিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুইটি প্যানেল। এর একটি প্যানেলে সভাপতি পদে রয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য শাহ্রিয়ার আলম। তার প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাঘা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি বাবুল ইসলাম। অন্য প্যানেলে সভাপতি পদে রয়েছেন বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসিকুল ইসলাম। কাউন্সিলের আগে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে আটকের ঘটনায় নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।