আজ আওয়ামী মুসলীম লীগ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত, আলোচনা সভা ইত্যাদি। ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এই উপলক্ষে বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আজীবন শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে তিনি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে সকলকে উদ্বুদ্ধ করতেন। ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে তিনি সব সময় প্রাধান্য দিতেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন অনাড়ম্বর ও সাদাসিধে।
মওলানা ভাসানী পাকিস্তান ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের মানুষের কাছে তিনি ‘মজলুম জননেতা’ হিসাবে পরিচিত। ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে ফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও মওলানা ভাসানী সবিশেষ ভূমিকা রাখেন। এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ আসাদ পরিষদ দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের পক্ষ থেকে নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনকে বহুতল ভবন নির্মাণ ও মওলানা ভাসানী গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়েছে।
মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতীয় পার্টি-জেপি’র অতিরিক্ত মহাসচিব সাদেক সিদ্দিকীসহ জেপি’র নেতৃবৃন্দ আজ টাঙ্গাইল জেলার সন্তোষে মরহুমের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ভাসানীর মৃত্যু বা্র্ষিকীতে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। আজ মরহুমের মাজার জিয়ারত করবে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।