রানা আহমেদ, নলডাঙ্গা(নাটোর)প্রতিনিধিঃ শেষের বন্যায় আমন ধান ক্ষেত সম্পন্ন নষ্ট হওয়ায় এবার নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার সর্বত্র গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে । আখের পাতাই এ সংকট মোকাবেলায় যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে । গবাদি পুশুর মালিকেরা প্রতিদিন গো- খাদ্য সংগ্রহে মাঠ থেকে আখের পাতা সংগ্রহ করছে । এমন কি নলডাঙ্গার হাটে ও আখের পাতা প্রতি আটি ১৫-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচেছ । গবাদি পুশু গরুর প্রধান খাদ্যে কাঁচা ঘাস ও শুকনো খড় । কিন্তু এবার শেষ সময়ে বন্যায় আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শুকনো খড় তীব্র সংকট ও চড়া দামে বিক্রয হচ্ছে । বছরের ৭-৮ মাস গবাদি পশুর খাদ্যের সংকট তেমন না থাকলেও প্রতি শীত মৌসুমে সকল জমিতে ফসল থাকায় গবাদির পশুর চারণ ভূমি থাকেনা । ফলে কৃষকরা গবাদি পশু গুলোকে গোয়ালে বেধেঁ রেখে খাদ্যে সরবরাহ করতে হয় । এ সময় অধিকাংশ গোয়ালে গরুগুলো কে শুধুমাত্র শুকনো খড় খেতে দিতে দেখা যায় । কিন্ত শুকনো খড়ে সকল পুষ্টি থাকে না । বাড়তি পুষ্টি যোগান দিতে কাঁচা ঘাসের প্রয়োজন হয় । কৃষকরা কাচাঁ ঘাস তেমন একটা চাষ না করায় প্রাকৃতিক নিয়মে তৈরি ঘাসই একমাত্র ভরসা । সেই প্রাকৃতিক ঘাসের ও আকাল দেখা দিয়েছে । তাই বাধ্য হয়ে আখের পাতা ,বাশ পাতা,কাঠাল পাতার উপর অনেক টা নির্ভর হয়ে পড়ছে এলাকার কৃষক । প্রতিদিন বিকালে নলডাঙ্গা বারনই সেতুর উপর আখের পাতার হাট বসে । দুরদুরান্তের কৃষক ও খামারীরা এহাট থেকে আখের পাতা কিনে নিয়ে যাচ্ছে।