কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ থেকে সুবল চন্দ্র দাস।
কিশোরগঞ্জে শহরতলিতে একটি হত্যা মামলার আসামিদের অন্তত ৯টি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিন্নাটির দনাইল ফকির বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। তরে এর আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় বসতঘরগুলো। জানা গেছে, শহরতলির দনাইল গ্রামের দুই পে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষে গুরুতর আহত নূরুল হককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী নূরুন্নাহার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। অন্যদিকে হাবিব মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলার বাদীপরে আটজনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন। এদিকে হত্যা মামলায় ইমরান ও নিজাম নামে দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালায়। বুধবার রাতে প্রায় দুই মাস ধরে জনশূন্য এসব বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিগ্রস্তদের অভিযোগ, প্রতিপরে লোকজন তাদের বসতঘরে আগুন দিয়েছে। এর চার দিন আগে তারা জনশূন্য বাড়িঘর থেকে সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বুধবার রাতে তাদের বসতঘরে আগুন দেওয়ার সময় প্রতিবেশী কামরুলের স্ত্রী তাসলিমা দেখে ফেলায় তাঁকে দুই দফা মারধর করা হয়। তিগ্রস্ত ইসমাইলের মামা সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বুলবুল, শফিকুল, ফারুক, শাহজাহান, আজিজুল, মোস্তফা ও রাজ্জাকের নেতৃত্বে একযোগে ৯টি বসতঘরে আগুন দেওয়া হয়। এতে নিমিষেই ৯টি বসতঘরসহ অন্তত ১৫টি ঘর পুড়ে। এ ব্যাপারে তিনি বাদী হয়ে মামলা করবেন বলেও জানান সাইফুল জানান। তবে হত্যা মামলার বাদীপ ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, বাড়িঘরে আগুন লাগার কথা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্তের মাধ্যমে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।