কামরুল ইসলাম হৃদয়, ব্যুরো প্রধান, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীতে বস্তিবাসীর সংখ্যা বাড়ছে বলে সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে। জরিপে বলা হয়েছে, কাজের সন্ধান, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, উচ্ছেদসহ নানা কারনে দিন দিন চট্টগ্রাম নগরীতে বাড়ছে বস্তিবাসীর সংখ্যা। নগরীতে আশ্রয় নেয়ার পর মানবপাচার, যৌন হয়রানি, বাল্য বিবাহ, মাদকসক্ত হওয়াসহ নানা সংকটের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে অসহায় বস্তিবাসীরা।
নগরীতে উন্নয়ন সংস্থা কারিতাসে জরিপে পাওয়া এসব তথ্য উঠে আসে।
জরিপের উপর ধারণাপত্র তুলে ধরেন এ কার্যক্রমের সমন্বয়কারী বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিচার্স ফেলো জুলফিকার আলী।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে আটটি ওয়ার্ডের চার শটি পরিবারের উপর এ জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। জরিপে উঠে এসেছে বস্তিবাসীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সেনিটেশন সুবিধা, পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়া ও অর্থনৈতিক অবস্থাসহ সার্বিক পরিস্থিতি।
সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান বলেন, বস্তিবাসীর সংকটগুলোর প্রতি এখনই নজর না দিলে তা একসময় সমাজ ব্যবস্থায় বিশৃংখলা তৈরী করবে। এ জরিপ সংকট সমাধানের ক্ষেত্র তৈরীতে সহায়ক হবে।
ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, জরিপে যেসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে যৌন হয়রানি খুবই মারাত্মক। এসব সমস্যা সমাধানে শুধুমাত্র সরকারের উপর নির্ভরশীল হলে চলবেনা। বেসরকারী সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
বস্তিবাসীদের পেশাগত বৈচিত্র্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ অনুসন্ধান করা, গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হওয়ার কারণ, নগরীর বস্তিগুলোতে সামাজিক শৃংখলার উপস্থিতি এবং বস্তিবাসীদের সম্ভাব্য সমর্থনের উপায় অনুসন্ধানের লক্ষ্য নিয়ে এ জরিপ পরিচালনা করে এনজিও সংস্থা কারিতাস।
জরিপে সংকট সমাধানের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা জালের আওতায় বস্তিবাসীদের নিয়ে আসা, কাউন্সেলিং ও সচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা এবং মাদকসেবি ও যৌনকর্মীদের অগ্রাধিকার দিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার সুপারিশ করা হয়।